‘রাজশ্রী তোমার জন্য….’, তাঁকে নিয়েই নচিকেতা এই গান বেঁধেছিলেন। অন্তত নিন্দকরা তেমনটাই বলেন। নচিকেতা তাঁর জীবনের কাছের মানুষ কিন্তু রাজশ্রী ভৌমিকের জীবনের বিশেষ মানুষের নাম আজও অজানা সবার। টলিগঞ্জে প্রায় তিন দশক কাটিয়ে ফেলেছেন রাজশ্রী ভৌমিক। আরও পড়ুন-'আমি যে জিন্স পরি...' কার কাছে কইয়ে শিমুলের কাকিশাশুড়িকে শপিং মলে দেখে চমকে ওঠেন ভক্ত! কী বললেন রাজশ্রী?
ছোটপর্দার অতি পরিচিত নাম রাজশ্রী। ‘ফাগুন বউ’, ‘অন্দরমহল’ থেকে হালে ‘কার কাছে কই মনের কথা’য় দেখা যাচ্ছে রাজশ্রীকে। টলিপাড়ায় প্রেম, বিয়ে ভাঙা-গড়া খুবই আম-ব্যাপার। তবে উলটো পথের পথিক রাজশ্রী। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভীষণচাপা অভিনেত্রী। ৪০-এর গণ্ডি পেরিয়েও অভিনেত্রী অবিবাহিতা। কেন রাজশ্রীর জীবনে কেউ এল না?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন রাজশ্রী। টলি-টাইমকে অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবন নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। হেসে-খেলে কেটে যাচ্ছে জীবন’। কবে বিয়ে করছেন রাজশ্রী? হাসিমুখে জবাব, ‘দিদিকেও বলি, তোমাদেরও বলছি- ছেলে খুঁজে দাও। খুঁজে দিলে বিয়ে হয়ে যাবে। মনের মানুষ পেলাম না। বলা ভালো, মনের মানুষ খোঁজার চেষ্টাও করিনি। বিয়ে করতেই হবে এর কোনও মানে নেই। আমার মনে হয়েছে বিয়ে করব না। এই তো ভালো আছি। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি'।
রাজশ্রীর সংযোজন, 'এখনকার জেনারেশন বলছে, আমি বিয়ে করব না! আমি হয়ত ওদের পথপ্রদর্শক। তবে মায়ের আক্ষেপ আছে পুরো বিষয়টা নিয়ে। ওঁনার একটা মেয়ে একটা ছেলে। মেয়ে বিয়ে করল না, উনি জামাইষষ্ঠীটা করতে পারলেন না'।
খুব ছোট বয়সে মায়ের হাত ধরে টলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন রাজশ্রী ভৌমিক। কেরিয়ারের শুরুটা হয়েছিল সিনেমার মধ্য দিয়ে, পরে ধীরে ধীরে টেলিভিশনের দুনিয়ায় পা রাখেন রাজশ্রী।
‘রাজশ্রী তোমার জন্য’ গানটা কি সত্যি রাজশ্রীর জন্যই লিখেছিলেন নচিকেতা? এই কৌতুহল আজও তাড়া করে অনেককে। এই প্রসঙ্গে এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘নচিদা পৌলমী, নীলাঞ্জনা, শতাব্দী— প্রচুর মেয়েকে নিয়ে লিখেছে। আমি ফিল করি। এই রাজশ্রীটা আমি হলে ভাল লাগবে। হয়তো রাজশ্রী নামের অনেকে রয়েছে, তার মধ্যে এক জন আমি। আমি কি না আমি সিওর নই।’ সংবাদমাধ্যমের তরফে গত বছর জন্মদিনেও নচিকেতার সামনে এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, বরাবরের মতো এড়িয়ে গিয়েছেন গায়ক। প্রসঙ্গত, জন্মদিনের সেই সেলিব্রেশনে সামিল হয়েছিলেন রাজশ্রীও।