Sreetama-Manali in Didi no 1: ‘খ্যাঁকখ্যাঁক করে…’,শিমুলের নামে রচনার কাছে নালিশ ঠুকল শ্রীতমা, পালটা মানালি

Sreetama-Manali in Didi no 1: দুজনের অনস্ক্রিন বন্ধুত্ব নজরকাড়া, অফস্ক্রিনে কতটা জমাটি শ্রীতমা আর মানালির রসায়ন? ফাঁস হল রচনার দিদি নম্বর ১-এর সেটে।

‘খ্যাঁকখ্যাঁক করে…’,শিমুলের নামে রচনার কাছে নালিশ ঠুকল শ্রীতমা, পালটা মানালি

নতুন বাংলা বছর উপলক্ষ্যে দিদির মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন ‘কার কাছে কই মনের কথা’র কলাকুশলীরা। শিমুল ও তাঁর বন্ধুদের গল্প ইতিমধ্য়েই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁদের অফস্ক্রিন বন্ডিংও হামেশাই চোখ টানে। রচনার গেম শো-তেও শুরু থেকে শেষপর্যন্ত চোখ টানল শিমুল-পুতুলদের খুনসুটি।

শিমুলের ‘হাবলি’ ননদের ভূমিকায় শুরুর দিন থেকে নজর কাড়ছেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য। ‘মা’ খ্যাত এই অভিনেত্রীর অভিনয় দক্ষতা প্রশ্নাতীত। কম যান না মানালিও। সেই ‘বউ কথা কও’-এর সময় থেকে কখনও মৌরী, কখনও ফুলঝুরি হয়ে দর্শকদের এন্টারটেন করেছেন মানালি। কিন্তু বাস্তবে নাকি খুব জেদী তিনি। অন্তত তেমনই অভিযোগ তাঁর অনস্ক্রিন ‘ননদিনি’ শ্রীতমার।

রচনা মানালির কাছে জানতে চেয়েছিলেন শিমুলকে কী উপদেশ দিতে চাইবে মানালি? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে জেদটা একটু কমানো উচিত’। মুখ ঘুরিয়ে, চোখ কপালে উঠিয়ে শ্রীতমা ফুট কেটে বলেন, ‘মানালি শিমুলকে কী বলবে! মানালির নিজেকেও একইকথা বলা উচিত- মাঝেমাঝে জেদটা কমানো উচিত… সারাক্ষণ খ্যাঁকখ্যাঁক…খ্যাঁকখ্যাঁক…’। মানালি কি সত্যি খেঁকুড়ে টাইপের?

নায়িকা বললেন, ‘ওকে খ্যাঁকখ্যাঁক না করলে হয় না! ও যে চরিত্রটা করে, সেটায় ওকে পাঠ করতে হয় না। ও তো ওইরকমই। এটা আমি নয়, সবাই বলবে।’ বিপাশা অর্থাৎ স্নেহা মানালির সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘শ্রীতমা ফানিস্য ফানি’। এরপর টেনে হিঁচড়ে পুতুলকে খানিক সামনে নিয়ে আসেন মানালি। এরপর মানালির অনুরোধে কোমর দুলিয়ে নাচ দেখান শ্রীতমা।

পুতুলের সেই স্পেশ্যাল পারফরম্যান্সের পর মানালি জানান, শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সর্বদা এইরকম অদ্ভূত কাণ্ডকারখানা করতেই থাকেন শ্রীতমা। মানালি যোগ করেন, শুধু কোমর নাচানো নয়, মাথায় উপর হাত রেখে ‘পা’ স্টাইলে অমিতাভের মতো নেচে উঠেন শ্রীতমা। যা দেখে হাসি থামেনি রচনার। 

শ্রীতমার প্রেমের গল্পও ফাঁস হয়েছে দিদির মঞ্চে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পুতুলের কাছে তাঁর বিশেষ মানুষের কথা জিজ্ঞেস করায় শ্রীতমা স্পষ্ট এড়িয়ে যান। বলেন, 'কই কেউ নেই।' ছাড়বার পাত্রী নন রচনা। তিনি বলে ওঠেন, 'ও তাহলে হয়তো দাদা হয়। ভাইফোঁটা দেবে।' এরপর রচনা বর্ণনা দেয় শ্রীতমার প্রেমিকের। বলে, 'সে রোগা পাতলা নয়, বেশ ভারী চেহারা।' এটা শুনে স্নেহা এবং মানালি ‘না না’ করে ওঠেন। বলেন, 'তুমি যা বর্ণনা দিচ্ছ তার সঙ্গে তো সেই ব্যক্তির মিল নেই। সে আরেকজন।' হাটে হাঁড়ি ভেঙে মানালি-স্নেহারা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন প্রেম করছেন শ্রীতমা।