২০২০ সালের করোনা মহামারীর সেই দুঃসময়ে বলিউড থেকে এসেছিল আরও একটা খারাপ খবর। আর সেটা হল অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু। অভিনেতার এভাবে চলে যাওয়া সেইসময় কেউ মেনে নিতে পারেনি। ফলত বলিউডের উপর উঠতে থাকে একটার পর একটা অভিযোগ। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল নেপোটিজম বিতর্ক। আর এর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বারবার উঠে এসেছিল একটাই নাম, আর তা হল করণ জোহর। বলিউডের ‘নোংরা রাজনীতির’ ধর্তাকর্তা হিসেবেও তাকেই পয়েন্টআউট করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন পরিচালক-প্রযোজক করণ।
করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের হাত ধরে বলিউড কেরিয়ার শুরু হয়েছে অনেক তারকা সন্তানদের। ফলে স্বজনপোষণের ধারক-বাহক হিসেবে বরাবরই তাঁর নাম উঠে আসে (অবশ্যই কঙ্গনা আগুনে ঘি ঢালার পর থেকে), যা সেইসময় আরও বেড়ে গিয়েছিল। করণের হাত ধরে বলি ডেবিউ হয়েছিল বরুণ ধাওয়ান, আলিয়া ভাট, জাহ্নবী কাপুর, ইশান খট্টরের। খুব জলদি সেই তালিকায় জুড়বে শানায়া কাপুরের নাম।
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এইসব ট্রোলিং আর সমালোচনার ফলে বলিউড সত্যিই খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এটা মোটেও কোনও ভালো সময় ছিল না। আমার অন্তত মনে হয় এই সব নেতিবাচক জিনিসের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলাম আমি। এটা এমন একটা জিনিস যা আমি কখনও কল্পনাও করিনি হতে পারে বলে। আমাকে নিয়ে যা যা লেখা হয়েছে তার অধিকাংশই ভুল, ঠিক হয়নি ওভাবে লেখা।’
করণর মতে নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসার সবচেয়ে বড় রাস্তা ছিল তাঁর কাছে কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। আর সেটাই তিনি করেছিলেন। তাঁর মতে, ‘এর পরেও একজনকে মাথা ওঠাতে হবে আর এগিয়ে যেতে হবে। কারণ আমাকে কৈফিয়ত দিতে হয় আমার কোম্পানি, আমার মা, আমার পরিবারকে। আমি ভেবেই নিয়েছিলাম নিজেকে শক্ত করতে হবে। তবে আমি খুশি যে ওই সময়টা কাটিয়ে দিতে পেরেছি। কাজে মন দিতে পেরেছি। হতে পারে সব মানুষ এত শক্ত হয় না। তবে অনেকেই কিন্তু তা পারে।’
প্রসঙ্গত, সাত বছর পর পরিচালনায় ফিরছেন করণ জোহর ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ দিয়ে। যাতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন আলিয়া ভাট ও রণবীর সিং। এছাড়াও দেখা মিলবে ধর্মেন্দ্র, জয়া বচ্চন আর শাবানা আজমির।