অজয়-কাজল জুটির '' ছবিটি ছিল বক্স অফিসে সুপার হিট। পরিচালক আনিজ বাজমীর এই ছবিতে অজয়-কাজলের রসায়ন বেশ মনে ধরেছিল সিনেমাপ্রেমীদের। আবার এই ছবিতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কাশ্মীরা শাহ এবং বিজয় আনন্দ। অনেকেই হয়ত জানেন না, বিজয়ের সঙ্গে ছবির শ্যুটিংয়ের সময় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন কাশ্মীরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন কাশ্মীরা শাহ।
কাশ্মীরার কথায়, ছবির জন্য বিজয়কে চুমু খাওয়ার দৃশ্য ছিল কাশ্মীরার। যে দৃশ্যটির শ্যুটিংয়ের সময় বারবার রিটেকের কারণে অস্বস্তিতে পড়েন কাশ্মীরা।
আরও পড়ুন-শ্যুটিংয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল দুটি ঘোড়া, হাড় ভেঙে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে! অভিযোগ দায়ের PETA-র
আরও পড়ুন-হর্ষবর্ধন রানের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন প্রাক্তন সানজিদা, অবশেষে মুখ খুললেন আমির আলি
আরও পড়ুন-মা পরের বাড়ি কাজ করতেন, একদিন খিদের জ্বালায় ডাস্টবিনের খাবার তুলেও খেয়েছি, অকপট ভারতী
তাঁর কথায়, ‘২৫ বছর আগে অনস্ক্রিনে চুমু খাওয়াটা একটা বড় ব্যাপার ছিল। তবে চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই আমি রাজি হয়েছিলাম। আর দুর্ভাগ্যবশত, সেই দৃশ্যটি অনেকবার রিটেক নেওয়ার প্রয়োজবন হয়েছিল। কারণ চুম্বনে দৃশ্যটি ছিল লিফটের মধ্যে আর আনন্দ সেটা কোনওভাবেই ঠিক করে করছিল না। শটটিতে আনন্দের নড়াচড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু উনি দাঁড়িয়ে ছিলেন, বারবার ভুল করেন। আর তাতেই আমাকে বারবার রিটেক করতে হয়। বিষয়টি খেয়াল করেছিলেন অজয় ও কাজল। অজয় তখন আমার পাশে দাঁড়ান। বিজয়ের কাছে এসে উনি বলেন, ‘আমি এই মেয়েটিকে বারবার এই দৃশ্যটি করতে বলতে পারি না। কেন তুমি তোমার কাজটা ঠিক করে করছো না? অনেকবার আমাকে এটা করতে বাধ্য করা তাঁদেরও অস্বস্তি হচ্ছিল। আর তাই তাঁরা আমার পাশে দাঁড়া। অজয়-কাজলের এই ব্য়বহারে আমি খুশি।’
কাশ্মীরা বলেন, কয়েকদিন পরে বিজয়ের সঙ্গেই আরও একটি দৃশ্যের শুটিং ছিল। যেখানে তাঁকে বিজয়কে চড় মারতে হয়েছিল। আর চুমুর প্রতিশোধ সেই চড়েই নাকি তুলছিলেন কাশ্মীরা। বলেন, 'আমি বিজয়কে কষিয়ে চড় মেরেছিলাম। পরে ও আমার কাছে এসে সবার সামনে বলল, ‘তুমি কি থাপ্পড় মারতে জানো না’?। আমি উত্তর বলি 'তুমি কি জানো না কীভাবে চুমু খেতে হয়!'। আমার কথা শুনে তখন পুরো ইউনিট হাততালি দিয়ে ওঠে আর আমার চোখে জল ছিল'।
কাশ্মীরার অভিযোগ, বিজয়ের বদমেজাজ, আর খামখেয়ালীতে বেশ বিরক্ত ছিলেন কলাকুশলীদের অন্যান্যরা। কারণ সকলেই ছিলেন মাটির মানুষ। এরই মধ্যে বিজয় আনন্দ একজনকে পায়ে জুতো পরাতে বলেন। আর তাতে সেটের সকলে খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। 'পেয়্যার তো হোনা হি থা'র পর আর কোনও ছবিতে কাজ পাননি বিজয় আনন্দ। আর সেটা তাঁর ব্যবহারের কারণেই বলে শোনা যায়।