সঙ্গীত তাঁর রক্তে। ঠাকুরদা ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিশোর কুমারের গান আজও সমান জনপ্রিয়। কিশোর কুমারের সুযোগ্য উত্তরাধিকারী অমিত কুমার। সেই পথেই এবার হাঁটছে অমিত-কন্যা। ছোট থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক মুক্তিকা গঙ্গোপাধ্যায়ের। এবার পরিবারের পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চলেছেন মুক্তিকা। এবার মঞ্চে গান গাইবেন তিনি। বাবা অমিত কুমারের সঙ্গে লাইমলাইট ভাগ করে নেবেন মুক্তিকা।
আগামী ৭ই অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রাস্থিত সেন্ট অ্যান্ড্রু অডিটোরিয়ামে একটি চ্যারিটি শো-য়ে গান গাইবেন অমিত-কন্যা। ক্যানসার আক্রান্তদের দিকে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেওয়া এক এনজিও-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে লাইভ কনসার্ট করবেন অমিত কুমার। ক্যানসার জয়ী মহিলারা যাতে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে পারে সেই জন্যই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এই চ্যারিটি কনাসার্ট থেকে সংগৃহীত অর্থ ক্যানসার জয়ীদের কল্যাণে কাজে লাগানো হবে।
অমিত কুমার জানান, ‘প্রথমবার স্টেজে পারফর্ম করবে মুক্তিকা। যখন আয়োজকরা আমাকে জিগ্গেস করল ও আমার সঙ্গে গান গাইবে কিনা, আমি তো উত্তেজিত হয়ে পড়ি। আমার বিশ্বাস ও নিজেও খুব বেশি এক্সাইটেড। ওর এখন ১৮ বছর বয়স, আমার মনে হয় এবার ওর এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সময় এসেছে। আমি ড্যাডি-র সঙ্গে ১৯৭১ সালে প্রথমবার মঞ্চে উঠেছিলাম। সেটাও ছিল মুম্বইয়ের একটা স্টেজ শো, জীবনের একটাবৃত্ত পূর্ণ হল’।
অমিত কুমার জোর দিয়ে জানান, মেয়ের উপর কিছু চাপিয়ে দেননি তিনি। সঙ্গীতের এই পথ স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছে মুক্তিকা। তিনি বলেন, ‘আমি কোনওদিন ওকে বলিনি তোমায় সঙ্গীত বেছে নিতে হবে। অথবা পরিবারের যে ঐতিহ্য, সেটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ আমি জানি সেটা খুব শক্ত। বাবার ঐতিহ্য আমি এত বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি জানি সেটা কতটা চ্যালেঞ্জিং’।
তবে অমিত কুমারের জহুরির চোখ বলছে, মুক্তিকার মধ্যে ভরপুর প্রতিভা রয়েছে। সঠিক প্রশিক্ষণ নিতে সঙ্গীতের জগতে নিজের পরিচয় গড়তে সফল হবে সে। তবে মেয়ের জন্য অমিত কুমারের উপদেশ, ‘প্লে-ব্যাক করতে হলে তোমাকে ভালো কুটনীতিক হওয়া শিখতে হবে। আর ক্ল্যাসিকাল মিউজিকের আরও তালিম নিতে হবে গানের জগতে এগোতে গেলে’।
প্রসঙ্গত, কিশোর কুমার এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী রুমা গুহঠাকুরতার একমাত্র পুত্র কিশোর কুমার। পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ তাঁর সঙ্গীত জীবন। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অজস্র জনপ্রিয় গান।