চার স্ত্রী ছিলেন কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারের- রুমা গুহ ঠাকুরতা, মধুবালা, যোগিতাবালি এবং লীনা চান্দাভাকর। কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী এবং বাঙালি গায়িকা-অভিনেত্রী রুমার ছেলে অমিত কুমার। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৮ পর্যন্ত বিবাহবন্ধবে আবদ্ধ ছিলেন তাঁরা।
প্রথম স্ত্রী রুমার সঙ্গে ডিভোর্স চলাকালীন মধুবালার প্রেমে পড়েন কিশোর কুমার। চতুর্থ স্ত্রী লীনার সঙ্গেও কিশোর কুমারের এক পুত্র সন্তান রয়েছে, সুমিত কুমার।
বাবার চারটি বিয়ে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, বম্বে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার জানিয়েছেন, ‘আমি তাঁকে কখনও জিজ্ঞাসা করিনি। এটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল। তিনি সবসময় একটি পরিবার চেয়েছিলেন। তিনি পারিবারিক মানুষ ছিলেন। এটা ঠিক যে তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছিল।’
কিশোর-পুত্র তথা গায়ক আরও বলেন, ‘যেদিন বাবা-মায়ের আইনি বিচ্ছেদ হয়েছিল, বাবা নিজের মাইনর মরিস গাড়িটি বাংলোতে কবর দিয়েছিলেন। নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি ‘আন্দোলন’-এর পর তিনি আমার মায়ের সঙ্গে এটি কিনেছিলেন। এই জন্যই তিনি ছিলেন কিশোর কুমার।’
অমিত আরও প্রকাশ করেছেন যে তাঁর সৎ মা লীনা তাঁর জন্য গান লিখেছিলেন। বলেন, ‘তিনি দুর্দান্ত লেখিকা ছিলেনা। তার আবার অভিনয় করার কোনও তাগিদ ছিল না।’
অমিতের মা রুমা ছিলেন পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ভাইঝি, যিনি কলকাতা ইয়ুথ কয়ারের (Calcutta Youth Choir) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৯৫০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর ১৯৫২ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান আমিত কুমারের জন্ম। শোনা যায়, কিশোর চেয়েছিলেন রুমা তাঁর কর্মজীবন ছেড়ে একজন গৃহিনী হয়ে উঠুক। অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন অভিনীত হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘অভিমান’, কিশোর এবং রুমার গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
রুমা দিলীপ কুমারের প্রথম ছবি ‘জোয়ার ভাটা’, ‘আফসার’ এবং ‘মাশাল’য়ের মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তিনি সত্যজিৎ রায়ের দুটি বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন: ‘অভিযান’ এবং ‘গণশত্রু’। কিশোরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের বিয়ে করেন রুমা। তাঁর আরও দুটি সন্তান হয়। ২০১৯ সালে ৮৪ বছর বয়সে কলকাতার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।