কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে সঙ্গীতমেলা ২০২৪। তবে তৃণমূল সরকার পরিচালিত সঙ্গীত মেলার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ আনে বিজেপি। মূল অভিযোগটা এনেছিল বিজেপি ঘনিষ্ঠ এক সাংস্কৃতিক মঞ্চ। তখনই তাঁরা রাজ্য সরকারের এই অনুষ্ঠানের পাল্টা এক অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেন। যার নাম রাখা হয় ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব’। তবে ২০ জানুয়ারি, শনিবার শেষ মুহূর্তে সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিল কলকাতা পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, ২০ জানুয়ারি প্রিন্সেপ ঘাটে হওয়ার কথা ছিল এই বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব। 'কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গল'-এর ব্যানারে এই উৎসব হওয়ার কথা ছিল। যার জন্য সেনার অনুমতি মিললেও শেষ মুহূর্তে কলকাতা পুলিশ সেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয় নি বলে খবর। ফলে শেষমুহূর্ত বন্ধ হয়ে গেল বিজেপির ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব’। পুলিশের তরফে মঞ্চ খোলার নির্দশে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন-অযোধ্যায় যোগদানে ‘না’ মমতার! ঠিক তখনই ‘মন জপ নাম' নজরুলগীতিতে রাম বন্দনা মোদীর
এই ঘটনায় কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কী করবেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই গান করবেন, হাম্বা রাম্বা খাম্বা খাম্বা, এপাং ওপাং ঝপাং। ওনার সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের কথা হত, আশা ভোসলের কথা হয়। সন্ধ্যাদি ওনাকে গান শিখিয়ে গিয়েছেন। তাই উনি একাই গান করবেন। উনি যাঁকে সঙ্গীতশিল্পী বলে বঙ্গভূষণ, বঙ্গবিভূষণ দেবেন, তাঁদেরও ডাকবেন না, তাঁরা নাকি সঙ্গীতশিল্পী নন। উনি যাঁদেরকে ঠিক করবেন, তাঁরাই গাইবেন। একমাস আগে থেকে ঠিক করা অনুষ্ঠান গায়ের জোরে বাতিল করল।’
এদিকে এই ঘটনা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য আসলে এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে সরগমের ‘গা..ধা’ বলে তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ।
এবিষয়ে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘এই সরকার প্রতিবাদী সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সেটা জানি, প্রতিবাদী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সেটাও জানতাম, তবে এই সরকার প্রতিবাদী শিল্পীদের বিরুদ্ধে সেটা জানতাম না। আসলে এই সরকার ভয় পেয়েছে।’