মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার ছবির মাধ্যমে নজর কেড়েছিলেন কঙ্কনা সেনশর্মা। ২০০৩ সালে এই ছবিটির জন্যই তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর মা অপর্ণা সেন এই ছবিটির পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু কীভাবে তিনি তাঁর মায়ের পরিচালিত এই ছবির এই চরিত্রে সুযোগ পেয়েছিলেন সেটাই এত বছর পর প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী।
কঙ্কনা সেনশর্মা তাঁর অভিনয় করা তৃতীয় ছবির প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার ছবিতে অভিনয় করার পর ভেবেছিলাম যে আমি আর অভিনয় করতে চাই না।' তিনি এদিন এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমার মনে হয়েছিল আমার এবার একটা নতুন আসল চাকরির প্রয়োজন। তাই আমি খবরের কাগজ নিয়ে চাকরি খুঁজতে বসে গিয়েছিলাম। তখন আমার ২০ এর দিকে বয়স। আমি ঠিক করেছিলাম কোনও পাবলিশিং বা বিজ্ঞাপনের চাকরি করব। কিন্তু আমার মা আমায় এমএর জন্য পাঠায়।'
আরও পড়ুন: ফের ঝলক ফেমিনিস্ট করণ জোহরের, বউ অঙ্কিতাকে সাপোর্ট না করায় বিগ বসে বকা দিলেন ভিকিকে
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্সের সেটে রীতিমত ‘অত্যাচার’ করতেন রোহিত! ‘নালিশ’ ঠুকে কী বললেন শিল্পা?
তিনি এদিন আরও বলেন, 'আমি একটি আন্তর্জাতিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। সেই একই জিনিস পড়তে হতো বারবার যা সেই ক্লাস ১১ বা ১২ -তে পড়েছি। খুব বোর হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার মা আমায় বলেছিল চেন্নাইতে গিয়ে কিছু রিসার্চ করো। আমি তখন আনন্দ সহকারে সেখানে গিয়ে আইয়ার, ইয়েঙ্গার, ইত্যাদির মধ্যে পার্থক্য নিয়ে লিখছিলাম। দারুণ মজা করছিলাম। আমার মা আমাকে সেভাবেই প্রস্তুত করছিল। আমি হয়েছিলাম প্রস্তুত।'
এই ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান কঙ্কনা। সেই স্মৃতি হাতড়ে বলেন, 'জাতীয় পুরস্কার এই শব্দটা আমার কাছে প্রথম তখন এসেছিল যখন আমি ঘুমোচ্ছিলাম। আমার সৎ বাবা আমার কাছে এসে বলেছিল জানো তুমি জাতীয় পুরস্কার জিতেছ? আমি সেটা শুনে বলেছিলাম ওমা তাই? বলে আবার ঘুমাতে গিয়েছিলাম কারণ আমি তখন এতটাই ছোট ছিলাম যে এসব কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু ওটাই আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। তখন সবাই জানতে পেরেছিল যে কঙ্কনা নামেরও একজন অভিনেত্রী আছে। তখন আমি অফার পেতে শুরু করি।'
আরও পড়ুন: 'রীতিমত মারধর করা হয়...' অভিনয় জগতে আসার জন্য অত্যাচারিত হয়েছেন কার কাছে কইয়ের প্রিয়া!
এই ছবিতে অভিনেত্রীকে মীনাক্ষী আইয়ারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। এই চরিত্রটি ছিল একজন তামিল আইয়ার ব্রাহ্মণ পরিবারের মহিলার। এই চরিত্রের জন্য তিনি যেমন প্রশংসা পেয়েছিলেন তেমনই জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তাঁর বিপরীতে এই ছবিতে ছিলেন রাহুল বসু যিনি একজন বাঙালি মুসলিম পুরুষের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দেশে চলা কম্যুনাল রায়টের সময় ওরা বিবাহিত জুটি হিসেবে কীভাবে দিন কাটিয়েছিল সেটা নিয়েই এই ছবি।