২০২২ সালের অগস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন কামাল রাশিদ খান ওরফে কেআরকে। এতদিন জামিনে মুক্ত থাকার পর, ফের মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করল এই স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক তথা অভিনেতাকে, এমনটাই দাবি করেছেন কেআরকে স্বয়ং। বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব কামাল রশিদ খান (Kamal Rashid Khan) কথায় কথায় বলিউড সেলেবদের তুলোধনা ধরেন তিনি। সোমবার দুবাই যাওয়ার পথে এয়ারপোর্টে মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি, এমনটা এক্স হ্যান্ডেলে জানান কেআরকে।
সেই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে ট্যাগ পর্যন্ত করেন কেআরকে। পরে অবশ্য সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন। যদিও সেটির স্ক্রিনশট ভাইরাল। ওই পোস্টে কেআরকে লেখেন, ‘গত এক বছর ধরে আমি মুম্বইতে রয়েছি। নিয়মিত কোর্টে হাজিরা দিচ্ছি। আজ নতুন বছর সেলিব্রেট করতে দুবাই যাচ্ছিলাম। মুম্বই পুলিশ এয়ারপোর্টে এসে আমাকে গ্রেফতার করল। আমাকে জানানো হয়েছে ২০১৬ সালের মামলায় আমি গ্রেফতার হয়েছি’।
এরপর সলমন খানকে টেনে বিস্ফোরক দাবি করেন কেআরকে। লেখেন, ‘সলমন খান বলছেন যে আমার জন্য তাঁর ছবি টাইগার ৩ ফ্লপ হয়েছে। আমি যদি থানায় বা জেলে যে কোনও পরিস্থিতিতে মারা যাই, তাহলে আপনারা সকলে জানবেন, এটা আসলে একটা খুন। এবং আপনারা সবাই জানেন, এর জন্য কে দায়ী’। কেআরকে-র গ্রেফতারি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি মুম্বই পুলিশ।
২০২০ সালে প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান ও ঋষি কাপুরকে নিয়ে করা বিতর্কিত টুইটের জেরেই এদিন মালাড পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। সেই টুইটগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিংসা ছড়ানোর জন্য করা হয়েছিল বলে জানায় মুম্বই পুলিশ। কেআরকে-র বিরুদ্ধে আগেই আদালতে মামলা ঠুকেছিলেন সলমন খান। সেই মামলাতেও কোণঠাসা কেআরকে সলমনের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেন। ভবিষ্যতে কোনওদিন সলমনের ছবি রিভিউ না করার শপথও নিয়েছিলেন। কিন্তু ফের ভাইজানকে নিয়ে বিতর্তিক পোস্ট উঠে এল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে।

কেআরকে-র ডিলিট করা পোস্ট
অভিনেতা হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কেআরকে, যদিও বিতর্কিত পোস্ট এবং ফিল্ম রিভিউ-এর জন্যই চর্চায় থাকেন তিনি। ২০০৬ সালে মুন্না পাণ্ডে বেরোজগার বলে একটি ভোজপুরী ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। পরবর্তীতে ‘দেশদ্রোহী’ ছবিতে দেখা যায় তাঁকে। এই ছবির প্রযোজকের আসনেও ছিলেন কেআরকে। বক্স অফিসে চরম ব্যর্থ হয় এই ছবি। রীতিমতো খিল্লি হয়েছিল ‘দেশদ্রোহী’ নিয়ে। পরবর্তীতে ‘এক ভিলেন’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল কেআরকে-কে।