কথায় বলে 'মামা ভাগ্নে যেখানে, বিপদ নেই সেখানে'। কিন্তু গোবিন্দা এবং তাঁর ভাগ্নে তথা জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ক্রুষ্ণা অভিষেকের ওপর মনে হয় এই প্রবাদটি প্রযোজ্য নয়। গত কয়েক বছরে এই দুই বলিপাড়ার ব্যক্তিত্বের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে হলেও পারিবারিক বিবাদের জেরে পরস্পরের মধ্যে তাঁদের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ। দিন কয়েক আগে ছোটপর্দায় কপিলের কমেডি শোয়ে অতিথি হিসেবে গোবিন্দা এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজার আসার খবর পেয়ে শো ছেড়েছিলেন! যার জেরে ক্রুষ্ণার উদ্দেশে তোপ দেগেছিলেন গোবিন্দা-পত্নী সুনীতা।
ওদিকে, কোনওরকম ঝামেলা না বাড়িয়ে শোয়ের ওই নির্দিষ্ট এপিসোড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ক্রুষ্ণা। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তাঁকে বলতে শোনা গেছিল, 'এটা কমেডি শো। কোন কথায় কী মনে করে ফেলবেন তাঁরা। হয়ত সামান্য কথায় কোনও ব্যাপার আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে। সবাই তারপর বলাবলি শুরু করবেন ও এই বলেছে, সেই বলেছে ইত্যাদি...তার থেকে দরকারটাই বা কী থাকার। সবদিক ভেবে তাই দেখলাম এই ভালো'।
এরপরেই মুখ খোলেন গোবিন্দা-পত্নী, 'যখনই গোবিন্দা শো-তে আসেন তখনই কৃষ্ণা এমন কিছু বলেন যাতে তাঁর পাবলিসিটি বেড়ে যায়। গতবছরও তিনি এমন কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন যাতে গোবিন্দার ভীষণ অপমান হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন, মানহানির মামলা দায়ের করুন। কিন্তু পরিবারের বিষয় বাইরে আনতে চাইনি, তবে এবার আর কোনও উপায় নেই। আর শো-তে কৃষ্ণা না থাকলেও তা হিট হবেই। মামার নাম ভাঙিয়েই খান কৃষ্ণা! নিজের নাম ভাঙিয়ে খাওয়ার কি কোনও যোগ্যতা তাঁর নেই?' সামান্য থেমে ভাগ্নের উদ্দেশে আরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি, 'যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন পর্যন্ত আমাদের মধ্যে এই সমস্যার কখনও সমাধান হবে না এবং আমি এই জীবনে আর তাঁর মুখ দেখতে চাই না!'
এবার এতকিছুর পরে গণেশ চতুর্থীর দিনে গণেশ বন্দনার শেষে সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্রুষ্ণা জানালেন তিনি সত্যিই চান তাঁদের পরিবারের মধ্যে এইসব বিবাদ যেন দ্রুত শেষ হয়। আবার আগের মতো তাঁরা যেন একজোট হয়ে যেতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘এতকিছুর পরেও আমি জানি যে ওঁরা মন থেকেই আমাকে ভালোবাসেন এবং আমিও বাসি। গণপতিজী যেন এই সব সমস্যার সমাধান করে দেন এটাই প্রার্থনা’।