বিগ বস ওটিটি-তে চলছে ফ্যামিলি উইক। আর তাতে মেয়ে পূজা ভাটের সঙ্গে দেখা করতে আসেন মহেশ ভাট। সত্তোরার্ধ মহেশ কিন্তু এখনও জড়ান বিতর্কে। বিগ বসের ঘরে এসেও তেমনটাই করলেন তিনি। ঘরের কনিষ্ঠ প্রতিযোগী মনীশা রানি-কে খাওয়া তাঁর চুমু এখন সর্বত্র আলোচনায়।
মহেশ বিগ বসের ঘরে এন্ট্রি নেওয়া মাত্রই পূজা এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরেন বাবাকে। বাবা-মেয়ের টাইট হাগ-এর থেকেও লোকের নজরে এল মনীষা রানিকে চুমু খাওয়া। মহেশকে একে-একে ঘরের সব সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন পূজা। এরপরই তাঁরা যান মনীষা রানির কাছে। পূজা ভাটের সঙ্গে বেশ ভালোই ঘনিষ্ঠতা বিহারের এই মেয়ের। পূজা যখন তাঁর সহ-প্রতিযোগীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন দেখা যায় মনীষার হাতের উপর হাত রাখেন মহেশ। হাত বোলাতে থাকেন তিনি। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ভ্রু কুঁচকে যায় অনেকের।
তবে মহেশ কিন্তু হাতের উপর হাত রেখে বা ‘হাত বুলিয়ে’ই চুপ থাকেননি, মনীশার জীবনের কাহিনি পূজার মুখে শুনে বিহারের এই মেয়ের হাতে চুমুও খান।
অনেকের দাবি খুব খারাপ ভাবেই ২৮ বছরের মনীষার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ৭৪-এর মহেশ। একজন কমেন্ট করলেন, ‘ওভাবে অচেনা কোনও মেয়েকে কেউ কেনও স্পর্শ করবে! ছি।’ একজন আবার কমেন্টে লিখলেন, ‘এই লোকটার চরিত্রে বরাবরই দোষ আছে। এত নোংরা।’
যদিও একাংশ পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউডের এই বর্ষীয়ান পরিচালকের। একজন কমেন্ট করেছেন, ‘যদি মনীশার এতে আপত্তি না থাকে, তাহলে জনতার এত গা জ্বালা করছে কেন!’ আরেকজন লিখলেন, ‘মনীশার মুখ দেখে একবারও তো মনে হচ্ছে না ওর কোনও অস্বস্তি হচ্ছে। বেকার সমালোচনা।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘কিছু লোকের আজকাল নোংরা কমেন্ট না করলে ঘুম আসে না রাতে।’
এর আগে কিন্তু মেয়ে পূজার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খেতে দেখা গিয়েছিল মহেশ ভাটকে। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে এক নামী ফিল্ম ম্যাগাজিনের কভার পেজের ফোটো শ্যুটের জন্য ছিল সেই চুমু। কম ছিছিকার হয়নি সেইসময়। মহেশ তো সেইসময় এ ও বলেছিলেন, ‘পূজা আমার মেয়ে না হলে আমি ওকেই বিয়ে করতাম।’ বলে রাখা ভালো, মহেশ ভাট ও তাঁর প্রথম স্ত্রী কিরণ (লরেন ব্রাইট)-এর মেয়ে পূজা।