বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Mahesh Manjrekar-Randeep Hooda: ‘হয় রণদীপ থাকবেন না হয় আমি থাকব’, সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম', বিস্ফোরক মহেশ মঞ্জরেকর

Mahesh Manjrekar-Randeep Hooda: ‘হয় রণদীপ থাকবেন না হয় আমি থাকব’, সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম', বিস্ফোরক মহেশ মঞ্জরেকর

মহেশ মঞ্জরেকর-রণদীপ হুদা

মহেশ আরও বলেন, ‘এরপর রণদীপ প্রায় সবকিছুতেই মাথা ঘামাতে শুরু করলেন, তখনই বিরক্ত হয়েছিলাম। আমি বলি,তুমি কি এবার আমায় ছবি পরিচালনাও শেখাবে? আমি নিজের মতো করে ছবিটা বানাতে চেয়েছিলাম। ও এত বেশি মাথা ঘামাতে শুরু করে যে আমি প্রযোজকদের জানিয়ে দি, হয় রণদীপ এই ছবিতে থাকবে না হয় আমি থাকব।

ছবির নাম ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’। প্রথমে এই ছবিরই পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মহেশ মঞ্জরেকর। আর কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রণদীপ হুদা। তবে পরে ছবির পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে সরে আসেন মহেশ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর'-এর পরিচালনার দায়িত্ব ছাড়ার কারণ নিয়ে বিস্ফোরক মহেশ। অভিনেতা রণদীপ হুদার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।

মহেশ বলেন, এই বায়োপিকটি আসলে তাঁরই প্রকল্প ছিল। তিনিই প্রযোজক আনন্দ পন্ডিত এবং সন্দীপ সিংকে নিয়ে এসেছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় ভূমিকার জন্য রণদীপের সঙ্গে চুক্তি হ প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। পরিচালক বলেছিলেন যে তিনি যখন রণদীপকে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। সেসময় রণদীপকে আন্তরিক বলেই মনে হয়েছিল তাঁর। তবে পরে চিত্রনাট্য নিয়ে তাঁদের মত-বিরোধ হয়। তবে মহেশ মঞ্জরেকরের দাবি, তিনি কোনও হস্তক্ষেপ চান নি। কারণ তিনি চলচ্চিত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য নিজেই দায় নিতে চেয়েছিলেন, কাউকে দোষ দিতে চান নি।

আরও পড়ুন-Exclusive Rukmini Maitra: লোকে বলে ট্যালেন্টেড নই, অভিনয় পারি না, তবে আমি জানি আমি পরিশ্রমী: রুক্মিণী

আরও পড়ুন-'বীর'-এর শ্যুটিংয়ে সলমনের নাকে আঘাত করে বসেন সানি দেওলের পর্দার ছেলে, তারপর?

মহেশ মঞ্জরেকরের কথায়, ‘চিত্রনাট্য নিয়ে প্রথম দিকে রণদীপের পড়াশোনা, ছবি ও চরিত্র নিয়ে রিসার্চ ওয়ার্ক আমায় মুগ্ধ করেছিল। তবে সমস্যা তৈরি হয় দ্বিতীয় পর্যায়ে গিয়ে। রণদীপ হিটলার, ইংল্যান্ডের রাজা, ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইত্যাদি চিত্রনাট্যে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। এমনকি লোকমান্য তিলকের স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং আমি এটি অর্জন করব, এই বিষয়টিও ঢোকাতে চেয়েছিলেন, তখনই আমি অবাক হয়েছিলাম, এগুলো কীভাবে এই ছবির চিত্রনাট্যে থাকবে।! যদিও রণদীপের পড়াশোনায় আমি মুগ্ধ ছিলাম। কিন্তু রণদীপ যখন ভগৎ সিং এবং সাভারকারের মধ্যে একটি দৃশ্যেও অন্তর্ভুক্ত করতে চাইল তখন আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই। কারণ ওটা ভুল।’

মহেশ আরও বলেন, ‘এরপর রণদীপ প্রায় সবকিছুতেই মাথা ঘামাতে শুরু করলেন, তখনই বিরক্ত হয়েছিলাম। আমি বলি,তুমি কি এবার আমায় ছবি পরিচালনাও শেখাবে? আমি নিজের মতো করে ছবিটা বানাতে চেয়েছিলাম। ও এত বেশি মাথা ঘামাতে শুরু করে যে আমি প্রযোজকদের জানিয়ে দি, হয় রণদীপ এই ছবিতে থাকবে না হয় আমি থাকব। আমি রণদীপের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না, তবে ও বেশিই মাথা ঘামাচ্ছিল।’

রণদীপ হুদা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই ছবির জন্য তিনি এতটাই ওজন কমিয়েছেন যে মৃত্যুও তাঁর কাছ থেকে ফিরে গিয়েছে। সে প্রসঙ্গে মহেশ বলেন, ‘এত ওজন কমাতে ওকে কে বলেছিল! আমি তো বলিনি, মৃতের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নিজেও মরতে হবে নাকি?' সম্প্রতি জানা গিয়েছে এই ছবি নিয়ে প্রযোজকদের সঙ্গেও আইনি জটে জড়িয়ে পড়েছেন রণদীপ হুদা। কারণ, রণদীপ দাবি করেছেন যে তাঁর কোম্পানি ছবির সমস্ত মেধা সম্পত্তি অধিকারের একমাত্র মালিক।

বন্ধ করুন