বাংলা তথা বাঙালির গর্ব তিনি। শুধু অভিনয় নয়, তাঁদের নাচের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ আট থেকে আশি। কথা হচ্ছে, উদয় শঙ্কর ও অমলা শঙ্করের সুযোগ্যা কন্যা মমতা শঙ্করের। সত্তর ছুঁইছুঁই মমতা শঙ্করকে সদ্য দেখা গিয়েছে ‘প্রধান’-এর মত হিট ছবিতে। নতুন বছরে ‘বিজয়ার পরে’ ছবিতে অভিনয় করে দাগ কেটেছেন তিনি। আরও পড়ুন-বিয়ের তিন-মাসে এ কী দশা! হাড়-জিরজিরে চেহারা, মাথায় টাক, চেনাই যাচ্ছে না রণদীপকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্র্যাডিশন্যাল ভাবনাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচেন। অভিনয়, নাচের পাশাপাশি পুরোদস্তুর সংসারি মানুষ। ছেলে-বউমা-নাতি-নাতনিদের নিয়ে হইচই করে বাঁচেন। কিন্তু নতুন প্রজন্মের সাজ মনে ধরে না তাঁর। সম্প্রতি সেই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান শিল্পী।
আজকের প্রজন্মের মেয়েদের অকারণ শরীর দেখানোর প্রবণতাকে তুলোধনা করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাড়ি পরব কিন্তু আঁচলটা জায়গামতো থাকবে না, এটা ভাবনাটা বুঝতে পারি না। ক্ষমা করবেন, এটা বলছি বলে- যাদের আমরা রাস্তার মেয়ে বলতাম, যাঁরা ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে থাকে এমন মেয়ে বলতাম, তাঁরা এইরকমভাবে দাঁড়াত। কিংবা গ্রামে কাজ করতে গিয়ে আঁচল সরে গেল সেটা দোষের ছিল না। এঁরা মানুষকে অ্য়াট্রাক্ট করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন, এটা তাঁদের পেশা, আমি তাঁদেরও শ্রদ্ধা করছি।’
মমতা শঙ্করের আরও সংযোজন, ‘আজকাল যাঁরা বিনা কারণে ওইরকমভাবে শাড়ি পরনে। এবং তারপর লোকে কিছু বললে রেগে যান। বলেন মেয়েদের নীচু করা হচ্ছে। মেয়েরাই তো মেয়েদের নীচু করছি আমরা। আমি সেটার বিরুদ্ধে। একটা শালীনতার জায়গা আছে যেখানে পুরুষ আমাদের সম্মান দেবে। পুরুষ সম্মান দেবে কোথা থেকে? যদি আমার নিজের আত্মমর্যাদা না থাকে!’ কড়া প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মমতা শঙ্কর।
প্রত্যেক মানুষ এই সমাজে জাজমেন্টাল মেনে নিলেন অভিনেত্রী। তাঁদের মতে, মেয়েদের এমন ইমপ্রেশন দেওয়ারই দরকার নেই যে আমরা সহজলভ্য। সেই কারণে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েদের উচিত সচেতন হওয়া।
নতুন প্রজন্মের মেয়েদের পোশাক নিয়ে আপত্তি থাকলেও কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না মমতা শঙ্করের। মাস কয়েক আগে নতুনদের সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে সকলের সম্পর্ক ভালো। আমি বরং মুগ্ধ হয়ে নতুনদের কাজ দেখি। নতুনরা এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করে, আমি হয়ত এত বছর পরও সেটা পারি না’।