তিনি রেডিও-র সকালম্যান। এখন অবশ্য আর সকালটা মীরকে শোনার সুযোগ হয় না। তবে তাঁর নামের সঙ্গে থাকা সকালম্যান পরিচয়টা হয়তো কখনো বদলাবে না। রেডিওর পাশাপাশি, তাঁর শো মীরাক্কেলও পেয়েছিল অপরিসীম ভালোবাসা। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে, সঞ্চালক হিসেবে, মিমিক্রি আর্টিস্ট হিসেবে জুরি মেলা ভার। তাঁর গলায় একসময় প্রতি রবিবার শ্রোতা শুনতেন সানডে সাসপেন্স। আর এখন চলে গল্প মীরের ঠেক। তা এই লোকটাই হঠাৎ, মধ্যমা দেখিয়ে ছবি পোস্ট করলেন!
এর আগেও একাধিক বিতর্ক ঘিরে ধরেছিল মীরকে। কখনও কোনও ট্রোলারকে সরাসরি মা-বাবা তুলে আক্রমণ করে, এসেছিলেন নেটপাড়ার রোষে। এমনকী, একবার বান্ধবী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে ট্রোল করা হলেও, সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে সেই ট্রোলারকে আক্রমণ করে এসেছিলেন সকলের নিশানায়।
আরও পড়ুন: ১ বছরে দু'বার স্লট বদল! ৫+ টিআরপি রেখেও শেষ জি বাংলার মেগা, হল শেষ দিনের শ্যুট
বৃহস্পতিবার দুপুরেই মধ্যমা দেখানো ছবিটি এল মীরের ইনস্টাগ্রামে। তবে একটু নজর দিলেই দেখা যাবে, মধ্যমাতে রয়েছে আংটি। তাঁর দাবি, সেটি দেখাতেই নাকি এই পোস্ট। কৌতুক ছলকে পড়ল এই ছবির ক্যাপশনেই।
‘ওহো! আমি আপনাদের আংটি দেখাচ্ছি, আর আপনারা আমার আঙুল দেখছেন। ফ্রান্স থেকে এই আংটিটা কিনেছি, বেশ চমৎকার (তিনি লিখেছেন Nice) না! ও হ্যাঁ, নাইস শহর থেকেই তো কেনা’।
আরও পড়ুন: সোনা-রূপাকে নিয়ে সূর্য-দীপার নাচ, স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ডের সম্প্রচার কবে?
রেডিয়ো মির্চির 'সকালম্যান' হিসেবে শ্রোতা মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন মীর দীর্ঘ ২৮ বছর। তারপর সেই চাকরি ছাড়ার পর, নিজের নতুন পডকাস্ট শো শুরু করেছেন তিনি। ইউটিউব চ্যানেলটির নাম রেখেছেন, ‘গল্প মীরের ঠেক’। তারানাথ তান্ত্রিক থেকে শার্লক হোমস, সব ধরনের গোয়েন্দারাই জায়গা পেয়েছেন এখানে। তবে রহস্যের পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্জার, হাসি, ভূত, সবই থাকছে গল্পমীরের ঠেকে। ক'মাসের মধ্যেই তা ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সোমক থেকে শুরু করে রেডিও, টিভির বহু নামী শিল্পীও কাজ করে ফেলেছেন মীরের সঙ্গে। সঙ্গে জোর কদমে চলছে ফুডকার কাজও।
আরও পড়ুন: ‘আমরা এড়িয়ে চলা শুরু করি…’, প্রশ্মিতা-অনুপমের বিয়ের দু দিন আগে কী লিখলেন পিয়া?
সিনেমায় মীরকে শেষ দেখা গিয়েছে বিজয়ার পরে-তে। যাতে ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, দীপঙ্কর দে-র মতো তারকারা। দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া পায় ছবিটি। ২৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বেঙ্গলি প্যানোরমা বিভাগে দেখানো হয়েছিল। যায় ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবেও।