পড়ন্ত সূর্যের রোদ গায়ে মেখে গোয়ার সমুদ্র সৈকতে বাংলা টেলিভিশনের খলনায়িকা মিশমি দাস। কালো বিকিনিতে গোধূলি আলোয় নিজেকে মেলে ধরেছেন মিশমি। এপ্রিলের দুর্বিসহ গরমে যখন সবার প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন গোয়া ভ্রমণের পুরোনো ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন মিশমি। তবে অভিনেত্রীর এই ছবি দেখে ট্রোলের বন্য়া নেটমাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহসী ছবি পোস্ট করতে এতটুকুও কুন্ঠাবোধ করেন না অভিনেত্রী মিশমি দাস। নিজের সাহসী অবতারের জেরে অনেকের চক্ষূশূলও হয়েছেন ‘এই পথ যদি না শেষ হয়'-এর রিনি। বিকিনিতে ছবি পোস্ট করায় বহুবার ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হয়েছেন মিশমি। তবে তাঁর সাম্প্রতিক ছবিটি দেখে কটাক্ষের পাশাপাশি অনেকে চিন্তাও জাহির করেছেন মিশমিকে নিয়ে।
কালো রঙা টু-পিসে শরীরটা পিছনের দিকে এলিয়ে দিয়েছেন মিশমি। সমুদ্রের ফুরফুরে হাওয়ায় উড়ছে চুল। সূর্যের আভায় আকাশের রং তখন গেরুয়া, আরব সাগরে সেই প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে। ছবির বিবরণীতে লেখা, ‘স্বর্গ বোধহয় এমনই হয়’। এই ছবিতে মিশমির শরীরের প্রতিটা হাড় যেন স্পষ্ট। তাই অনেকেই চিন্তার স্বরে লিখেছেন, ‘অপুষ্টিতে ভুগছেন তো। একটু ভালো করে খাওয়া দাওয়া করুন’। অপর একজন লেখেন, ‘সরি, এটাকে ফিট বডি বলতে পারছি না। পুরো তালপাতার সেপাই। একটু খাওয়াদাওয়া করুন আপনি’। অনেকেই তাঁকে শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্যদিকে কেউ কেউ ট্রোল করে ‘ঝাঁটার কাঠি', ‘কমজোর দেশি মুরগি’ বলতেও ছাড়েননি। একজন লেখেন, ‘এর এক্স-রে করার দরকার পড়বে না’। পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করে একজন লেখেন, ‘এর চেয়ে ল্যাংটো হয়ে ছবি দিলেই পারো, এইটুকুই বা শরীরে রাখার কী দরকার’। যদিও এইসব ট্রোলিং-কটাক্ষকে পাত্তা দিতে না-রাজ মিশমি। তাই তো কোনওরকম পালটা জাবাব দেননি অভিনেত্রী।
একবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রোলিং প্রসঙ্গে মিশমি জানিয়েছিলেন, ‘আমার কারুর কথা গায়ে লাগে না। রোগা-মোটা যাই হই না কেন লোকে কথা শোনাতে ছাড়বে না’। মাঝে অভিনয় থেকে মাস কয়েকের বিরতি নিয়েছিলেন মিশমি। ফিরে এসে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর কাজ শেষ করেন। এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর জি বাংলারই ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা মিলছে তাঁর। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই ব্রেকআপের খবরে শিলমোহর দিয়েছেন অভিনেত্রী। দীর্ঘদিনের প্রেমিক প্রেমিক বিশাল ভনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এখন ‘সিঙ্গল’ লাইফটা চুটিয়ে এনজয় করছেন মিশমি।