প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’তে অভিনয় করেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সাতের দশকে ধীরে ধীরে ‘তারকা’র তকমা পেতে শুরু করেন। আর আটের দশকে বলিউডে রাজত্ব করেছিলেন তিনি। তবে, এই জার্নি খুব একটা মসৃণ ছিল না। সাফল্যের জন্য এনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছিল তাঁকে।
২০১০ সালে ‘হেডলাইনস টুডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন জানিয়েছিলেন, বলিউডে তাঁর সংগ্রাম খবুই ‘হতাশাজনক’ ছিল। ‘আমি তা নিয়ে কথা বলে সবাইকে হতাশ করতে চাই না’, জানিয়েছিলেন ‘ডিস্কো ডান্সার’ অভিনেতা।
মিঠুন জানিয়েছিলেন, ‘আমি কারও নাম নিতে চাই না। এটা তখনকার কথা যখন বলিউডে নিজের একটা জায়গা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তখন কানে আসত অনেক নায়িকাই আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইত না। কারণ অন্যান্য নায়করা চাইত না সেইসব নায়িকারা আমার সঙ্গে কাজ করুক। অনেক বাধা এসছে। আমি শুধু ভাবতাম, আমার মধ্যে যদি প্রতিভা থাকে কেউ আমায় আটকাতে পারবে না। একদিন এরাই আসবে আমার সঙ্গে কাজ করতে। আমি ভাবতাম আমার মধ্যেই হয়তো কোনও খামতি আছে। নিজেকে আরও ভালো করে তৈরি করার জেদ আমার মনে চেপে বসত।’
আর এই জন্য জিনাত আমনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মিঠুন। আটের দশকে তাঁদের দু'জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘তকদির’, ‘হাম সে হ্যায় জামানা’, ‘ইয়াদো কি কসম’-র মতো হিট ছবি। তাঁর কথায়, ‘জিনতজিকে অনেক ধন্যবাদ এই বাধা টপকে আমার সঙ্গে কাজ করার মতো ঝুঁকি নেওয়ার জন্য।’ প্রসঙ্গত, রাজনীতির ময়দান কাঁপানোর পাশাপাশি এখনও শো বিজের দুনিয়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মিঠুন। বিবেক অগ্নিহোত্রি-র পরিচালনায় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে তাঁর অভিনয় করার কথা রয়েছে। যেখানে একজন কাশ্মীরী পণ্ডিতের চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে।