আজও ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায় প্রয়াত কিংবদন্তি দুই বলি-গায়ক মহম্মদ রফি এবং কিশোর কুমারের মধ্যে নাকি বরাবরেরই ঠান্ডা যুদ্ধ চলত। 'আরাধনা' ছবির পরেই মহম্মদ রফির থেকে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা রীতিমতো কলার তুলে 'হাইজ্যাক' করে নিয়েছিলেন কিশোরকুমার। ফলে কিশোরের সঙ্গে রফির যে একটা ঠান্ডা যুদ্ধ ছিল তাতে মান্যতা দিয়েছে তামাম বলিউডের একটা বড় অংশ। তবে সম্প্রতি, একথা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে রফি-পুত্র শাহিদ জানিয়েছেন তাঁর বাবা এবং কিশোরের মধ্যে দারুণ হৃদ্যতা ছিল।
এ প্রসঙ্গে শাহিদ রফি জানিয়েছেন কোনওদিন তাঁর বাবার মুখ থেকে তিনি কিশোরের ব্যাপারে কোনও নিন্দা শোনেননি। 'তাঁরা দু'জন্যে পরস্পরের দারুণ বন্ধু ছিলেন। কিশোরদা তো আমার বাবাকে দারুণ সম্মান করতেন।' অন্যদিকে, কিশোরের সঙ্গে ডুয়েট গাওয়ার সুযোগ এলে যারপরনাই খুশি হতেন রফি। রেকর্ডিং ষ্টুডিও থেকে বাড়ি ফিরে খুশি মনে এই কথা জানাতেও নাকি দ্বিধা করতেন না রফি, দাবি শাহিদের।
কথায় কথায় রফি-পুত্র আরও জানান যে মহম্মদ রফি তখন লন্ডনে। একইসমে সেখানে একটি গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয়েছেন কিশোর। জানতে পেরেই কিশোর কুমারকে রাতে একসঙ্গে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেছিলেন রফি। হাজার ব্যস্ততা থাকা সত্বেও রফির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন কিশোর। রফি-কিশোরের বন্ধুত্ব সম্পর্কে আর জে রাহুলের শো-তে এসে একাব্বর মুখ খুলেছিলেন কিশোর-পুত্র তথা বলি-গায়ক অমিত কুমার। জানিয়েছিলেন, রফির মৃত্যুর খবরে কেমন হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন তাঁর বাবা।