পুরুষ-নারীর ভেদাভেদ নিয়ে বিদ্যজনেদের আপত্তি বরাবরের। নারীবাদীরাও এই অসাম্য নিয়ে সোচ্চার বহুদিন ধরেই। কথায় বলে চলচ্চিত্র নাকি সমাজব্যবস্থার প্রতিফলন। তাই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির রন্ধ্রে রন্ধ্রেও রয়েছে পিতৃতন্ত্রের আস্ফালন। দাবি অভিনেত্রী দিয়া মির্জার। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী বলেছেন, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ভীষণরকমভাবে পুরুষ-প্রাধান্যে বিশ্বাসী এবং তাঁর প্রথম ছবি ‘রয়না হ্যায় তেরে দিল মেঁ’-ও তার ব্যাতিক্রম নয়।
দিয়া বলেন, পিতৃতন্ত্র প্রধান সমাজব্যবস্থায় থেকে পুরুষ-প্রাধন্যকে ইন্ডাস্ট্রি থেকেও মুছে ফেলা যায়নি। তিনিও বহুছবিতে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করেছেন যাঁরা ‘সেক্সিট সিনেমা’-র অংশ।
‘মানুষজন পুরুষ প্রধান ছবি লিখেছে, ভেবেছে এবং তৈরি করেছে, সেই সিনেমার অংশ আমিও থেকেছি। রয়না হ্যায় তেরে দিল মেঁ-র মধ্যে পুরুষ-প্রাধান্য রয়েছে। আমি সেইসব মানুষগুলোর সঙ্গেই অভিনয় করেছি। বিষয়টা খুব দুর্ভাগ্যের। আপনাকে একটা ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি, একজন মেক-আপ আর্টিস্ট মানেই পুরুষ, সেটা মহিলা হবে না। আবার হেয়ারড্রেসার মানেই মহিলা… যখন আমি কাজ শুরু করি, তখন ১২০ জনের ইউনিটে হাতে গোনা চার-পাঁচজন মহিলা থাকত। কখন কখনও ইউনিটের সংখ্যাটা ১৮০ হত, তবে মহিলা ক্রু-র সংখ্যা বাড়ত না’, ব্রুট ইন্ডিয়াকে জানান দিয়া।
'আমারা তো পুরুষপ্রধান সমাজে বাস করি, এবং ইন্ডাস্ট্রিটাও মূলত পুরুষচালিত হয়। তাই সেখানে মারাত্মক সেক্সিজম রয়েছে। হয়ত এই ইন্ডাস্ট্রিক বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে সচেতনই নয়। কাহিনিকার, পরিচালক, অভিনেতারা হয়ত নিজেদের এই পুরুষ প্রধান ভাবনাটা নিয়েই অবগত নন', জানান হবু মা দিয়া মির্জা।
উল্লেখ্য মিস ইন্ডিয়ার এশিয়া প্যাসেফিকের তাজ মাথায় পরে দু-দশক আগে লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী নায়িকা দিয়া মির্জা। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘থাপ্পড়’ ছবিতে। চরিত্রের দৈর্ঘ স্বপ্ল হলেও স্বাধীনচেতা সিঙ্গল মাদারের চরিত্রে ছবিতে নজর কাড়েন দিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতেই বৈভব রেখির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দিয়া। বিয়ের ঠিক ৪৫ দিনের মাথায় ঘোষণা করেন মা হতে চলেছেন তিনি। বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট ছিলেন তিনি, সেকথাও অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন।