বিরল রোগে আক্রান্ত অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। গত সপ্তাহেই নিজের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বড় আপটেড দেন ‘ওহ আভান্তা’ গার্ল। মায়োসাইটিস রোগে আক্রান্ত অভিনেত্রী। এই খবর জানবার পর থেকেই চিন্তায় ভক্তকূল। গত কয়েক মাসে ব্যাপক ঝড় গিয়েছে অভিনেত্রীর উপর দিয়ে।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম আদর্শ দম্পতি হিসাবে পরিচিত ছিলেন সামান্থা প্রভু ও নাগা চৈতন্য। তবে গত বছর অক্টোবরে সকলকে চমকে দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন দুজনে। চার বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানেন স্যাম আর চে। তারপর থেকে নানান প্রশ্নবাণে জর্জরিত অভিনেত্রী। কখনও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের অভিযোগ তো কখনও ডিভোর্সের পরিবর্তে নাগা চৈতন্যর থেকে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার গুঞ্জনে জেরবার হয়েছেন সামান্থা। ট্রোলারদের যোগ্য জবাবও দিয়েছেন অভিনেত্রী।
সামান্থাকে ফোন নাগার
সামান্থার শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানবার পর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রীর। প্রকাশ্যে নাগার সৎ ভাই অক্কিনেনি সামান্থার আরোগ্য কামনা করেন। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল এবার কি নাগা-সামান্থার বরফ জমাট সম্পর্ক গলবে? সূত্রের খবর তেমনটাই! জানা গিয়েছে সামান্থার স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নাগা। প্রাক্তন স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে ফোন করেন নাগা চৈতন্য। খুব শীঘ্রই স্যামের সঙ্গে দেখা করবার ইচ্ছেও নাকি প্রকাশ করেছেন নার্গাজুন-পুত্র।
অনুরাগীদের আশা সামান্থার এই কঠিন সময়ে পাশে থাকুক চে (নাগাকে এই নামেই ডাকেন সামান্থা)। প্রেম সম্পর্ক জোড়া না লাগলেও অন্তত দুজনের মধ্যে যেন বন্ধুত্বের সম্পর্কটা অটুট থাকে এমনটাই চান তাঁরা।
মায়োসাইটিস কী?
এই অটোইমিউন রোগে পেশী আবৃত কোষগুলিতে প্রদাহ দেখা যায়। এতে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা, পিঠের নীচের দিকে ব্যথা এবং হাঁটুতে ব্যথা বেড়ে যায়। রোগীর হাঁটতে সমস্যা দেখা যায়, শরীরে ক্লান্তি আসে, এবং শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত দেখা যায়।
অসুস্থতার কথা জানিয়ে গত ২৯শে অক্টোবর সামান্থা ইনস্টাগ্রামে লেখেন-'মাস কয়েক আগে আমি মায়োসাইটিস নামক একটি অটোইমিউন (স্বতঃঅনাক্রম্য) রোগে আক্রান্ত হয়েছি। ভেবেছিলাম এই সমস্যাটা একটু লাঘব হলে তোমাদের জানাব, তবে একটু বেশিই সময় লাগছে’।
এরপর সামান্থা যোগ করেন, ‘আমাক মনে হল সবসময় নিজেকে শক্তিশালী হিসাবে তুলে ধরবার দরকার পড়ে না। নিজের দুর্বলতাকে স্বীকার করে নেওয়াটা এমন একটা বিষয় যার সঙ্গে আমি এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসকরা আশাবাদী আমি খুব শীঘ্রই সেরে উঠব। আমার ভালো দিন যাচ্ছে, খারাপ দিন যাচ্ছে… শারীরিক এবং মানসিকভাবে। মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে আর একটা দিনও আমি সহ্য করতে পারব না। তখনই দেখছি সেই মুহূর্তটা কেটে যাচ্ছে, আমার মনে বলছে- আমি সুস্থতার পথে আরও একটু এগিয়ে গেলাম। অনেক ভালোবাসা সকলকে’।