চারবারের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নীতীন দেশাইকে বুধবার মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় তার স্টুডিওতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা ধরে নিয়েই শুরু করেছে তদন্ত। তবে এভাবে নীতীনের চলে যাওয়া মানতে পারছে না বলিউড। হাম দিল দে চুকে সনম, লাগান, যোধা আকবর, প্রেম রতন ধন পায়ো-র মতো সিনেমার সেট সেজে উঠেছিল তাঁরই হাত ধরে। কাজ করেছেন বিধু বিনোদ চোপড়া, সঞ্জয় লীলা বনসালি, রাজকুমার হিরানি এবং আশুতোষ গোয়ারিকারের মতো পরিচালকদের সঙ্গে।
নীতীন দেশাইকে স্মরণ করে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী লিখলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু নীতিনের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না। বুকটা ফেটে যাচ্ছে। কিংবদন্তি প্রোডাকশন ডিজাইনার, এনডি স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা… নীতিন শুধু আমাকে আর পল্লবীকে ভালোবাসত না, আমাদের পথ দেখাত। আমরা একসঙ্গে ছবি না করলেও। কেন নীতিন কেন? ওম শান্তি।’
রীতেশ দেশমুখ লিখলেন, ‘গভীরভাবে মর্মাহত এটা জেনে যে #NitinDesai, একজন কিংবদন্তি প্রোডাকশন ডিজাইনার যিনি ভারতীয় সিনেমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন, তিনি আর নেই। তাঁর পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি তাকে বছরের পর বছর ধরে চিনতাম… মৃদুভাষী, নম্র, উচ্চাভিলাষী এবং একজন স্বপ্নদর্শী… বন্ধু আপনাকে মিস করব। ওম শান্তি।’
নীল নীতীন মুকেশ লিখলেন, ‘হৃদয় বিদারক খবর মেনে নিতে পারছি না। আমাদের প্রিয় #নীতীনদেশাই তাঁর স্বর্গীয় আবাসে চলে গিয়েছেন। তিনি কেবল একটি প্রতিভা ছিলেন না, ছিলেন করুণা, শৈলীতে ভরা একজন স্বপ্নদর্শী শিল্পী। তিনি একজন ইতিবাচক আত্মা ছিলেন যিনি সকলের মধ্যে শুধুমাত্র ভালবাসা ছড়িয়ে দিতেন। ঈশ্বর তার পরিবারকে শক্তি দান করুন। ওম শান্তি।’
পরীনিতি চোপড়া লিখলেন, ‘নীতীন স্যারের কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। #নীতিন দেশাই। তাঁর যুগান্তকারী কাজ, প্রজ্ঞা এবং শিল্পকলা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শান্তিতে থাকুন স্যার।’
নীতীন দেশাইয়ের সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করে মধুর ভান্ডারকর লিখলেন, ‘একাধিক জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী শিল্প পরিচালক নীতিন দেশাইয়ের মৃত্যুর বিধ্বংসী সংবাদ শুনলাম। তার সঙ্গে চারটি উল্লেখযোগ্য ছবিতে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। #ট্রাফিক সিগনাল, #ফ্যাশন , #জেল এবং #ইন্দুসরকার। তার অপার প্রতিভা এবং বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব প্রতিটি প্রকল্পকে অবিস্মরণীয় করে তুলত। ভারতীয় সিনেমা একজন সত্যিকারের রত্নকে হারাল। তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। আমরা তোমাকে মিস করব দাদা। #ওমশান্তি।’
শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। তবে সেটাই নীতীনের আত্মহত্যার কারণ কি না তা এখনও জানা যায়নি। আর্ট ডিরেক্টরের পাশাপাশি করেছিলেন প্রযোজনাও। বেশ কিছু ছবিতে ক্যামেরার সামনেও তাঁকে দেখা যায় অভিনেতা হিসেবে। ২০১৫ সালে মুম্বই থেকে কিছু দূরে ৫২ একর জায়গা নিয়ে খোলেন এনডি স্টুডিয়ো। যেখানে রয়েছে কালার্সের বিগ বসের সেট। সেখানেই জীবনের শেষ নিশ্বাস ফেললেন তিনি।