বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না যশের। তবুও নুসরতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে না-রাজ তিনি। কিন্তু তাই বলে চুপ করেও বসে নেই যশ। ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে চলেছেন এক নাগাড়ে। এবার রুমির লেখনিকে আশ্রয় করে যশের দাবি, ‘যা কিছু আঘাত করে, তাই যেন আশীর্বাদ হয়ে ফেরে। অন্ধকারই (আশার) প্রদীপ। বাঁধার প্রাচীর নতুন কিছু খোঁজের উৎস। ব্যর্থতার চাবি দিয়েই মনের রাজত্বের দরজা খোলে।’
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে যশের এই বার্তা দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন, তবে কি নিজের জীবনে নতুন অতিথি আসবার ঘটনাকে ঘিরেই এমন মনের ভাবনা যশের। নিজের অনুভূতিকেই মেলে ধরলেন তিনি? নুসরত জাহানের সঙ্গে যশের প্রেম সম্পর্ক আর গোপন নেই, নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে শিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। তাই দুই ঘটনাকে মিলিয়ে দিতে দেরি হয়নি নেটিজেনদের। তবে 'যশরত'কে নিয়ে চর্চা যতই হোক, নুসরতের ভাবী সন্তানের পিতৃপরিচয়টা এখনও গোপনের রেখেছেন নুসরত। এবার সুফীবাদের অন্যতম প্রাণপুরুষ, তথা পারসিক কবি রুমির পঙতি ধরা করে 'জীবনের খুশির চাবিকাঠি' কথা বললেন যশ।
লম্বা চাবির ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে জীবন নিয়ে তাঁর অনুভূতিকে প্রকাশ করলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। অভিনেত্রী, সাংসদ নুসরত জাহানের সঙ্গে তাঁর বিশেষ বন্ধুত্ব, সকলের নজর এড়িয়ে বেড়াতে যাওয়া, একসঙ্গে দিন কাটানো এবং সর্বোপরি নুসরতের মা হওয়া। একের পর এক ঘটনায় খবরের শিরোনামে যশ। নুসরতের সন্তানের বাবা কি তিনি? ইন্ডাস্ট্রি থেকে নেটমাধ্যম, প্রতিনিয়ত এই প্রশ্ন ঘুরছে তাঁকে ঘিরে। প্রকাশ্যে এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি তিনি। কিন্তু ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মনের কথা সরাসরি লিখছেন যশ। ফরাসি কবি রুমির পংক্তি দিয়ে নিজের জীবনের স্থিরত্ব খুঁজছেন যশ।
যশের স্টোরিতে যে বার্তা রয়েছে তার বাংলা তর্জমা করলে খানিকটা দাঁড়ায়, ‘যখন কোনও ঘটনায় তোমায় বিচলিত করবে বা চিন্তায় থাকবে, তখন ধৈর্য ধর। ধৈর্য বাস্থিরতাই তোমার জীবনের খুশির দরজা খুলে দেবে। তুমি ভাবছ দরজা বন্ধ। তুমি বন্দি। আসলে তুমিই চাবি। তোমাকে দিয়ে দরজা খুলবে।’
নিজের জীবনে উঠা বিতর্কের ঝড়ের মধ্যেও আশার আলো খুঁজছেন যশ, কারণ খুশির চাবিকাঠিটা তাঁর জানা। তাই তো এতো বিতর্কের ঢেউ সামলে চলেছেন স্থিরতা দিয়ে। তার এই নীরবতায় অখুশি অনুরাগীদের একটা অংশ, অনেকে আবার যশের প্রশংসাও করছেন।