মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌথ বিবৃতিতে দিয়ে বিরাট-অনুষ্কা সুখবর ভাগ করে দেন। জল্পনা সত্যি করে তারকা দম্পতি জানান, দ্বিতীয় সন্তানের বাবা-মা হয়েছে তাঁরা। অনুষ্কা যে দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা সে খবর গত নভেম্বরে প্রথম জানিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস। বছর ঘুরলেও বিরাট কিংবা অনুষ্কা সেই খবরে সিলমোহর দেননি।
অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে, সন্তানের জন্মের পাঁচদিন পর ভামিকার ভাই, অকায়ের আগমন বার্তা দিলেন দুজনে। বিরুষ্কা ভগবানে আস্থা রাখেন, নিম করোলি বাবার ভক্ত তাঁরা। এই তারকা দম্পতি জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন কিনা তা জানা নেই। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল বিরুষ্কার জীবনের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আট বছর আগেই জানিয়েছিলেন এক জ্যোতিষ।
গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যালে ট্রেন্ডিং বিরাট-অনুষ্কার দ্বিতীয় সন্তান। অকায়-কে নিয়ে কেউ AI নির্ভর ছবি তৈরি করছে, তো কেউ ভাবছে বড় হয়ে সে বাবার পেশায় আগ্রহী হবে নাকি মায়ের। এর মাঝেই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে বিরাট কোহলির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে করা একটি জ্যোতিষ গণনার পুরনো পোস্ট। ২০১৬ সালে ফেসবুকে জ্যোতিষ গণনা সংক্রান্ত একটি পেজ থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছিল। তাতে লেখা রয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাবা হবেন।
প্রসঙ্গত, যখন এই ভবিষ্যতবাণী করা হয়, তখনও বিয়েই হয়নি বিরাট-অনুষ্কার। এই পোস্টে নজর রাখলে স্পষ্ট দেখা যাবে বিরাটের বিয়ের সময়, এমনকী ভামিকার জন্ম নিয়েও কম-বেশি সঠিক ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে। যা দেখে চক্ষু ছানাবড়া নেটিজেনদের।
ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছল ২০১৭-র ডিসেম্বর থেকে ২০১৮-র জানুয়ারিতে বিরাট বিয়ে করবেন। এই তারকা দম্পতি বিয়ে করেন ১১ই ডিসেম্বর, ২০১৭। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ ভামিকার জন্ম হবে, এমনটা বলা রয়েছে ওই পোস্টে। ওই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন অভিনেত্রী। ২০২১-এর জানুয়ারির গোড়াতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন অনুষ্কা।
বিরাটের জীবনের অনেক কথা মিলিয়ে দিয়েছেন সেই জ্যোতিষী, তাঁর ভবিষ্যতবাণী অনুসারে ২০২৮ সালে ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানাবেন কিং কোহলি। অর্থাৎ আরও বছর চারেক ক্রিকেটের ২২ গজে দাপিয়ে বেড়াবেন তিনি। এই ভবিষ্যতবাণীও কি মিলবে?
গত মঙ্গলবার ছেলের জন্মের সুখবর জানিয়ে তারকা দম্পতি লেখেন, 'ভীষণ আনন্দ এবং খুশির সঙ্গে সবাইকে জানাচ্ছি যে ১৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের ছেলে হয়েছে। খুশি মনে নিয়ে জানাচ্ছি ভামিকার ভাই হয়েছে, নাম অকায়।' তিনি এদিন আরও লেখেন, ‘আপনাদের সবার আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি আমাদের জীবনের এই দুর্দান্ত সময়ের জন্য। একই সঙ্গে চাইব আপনারা যেন আমাদের এই ব্যক্তিগত সময়টা সঠিক ভাবে উপভোগের সুযোগ করে দেন এবং গোপনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করেন’।