‘কুইন’ মু্ক্তির সপ্তম বার্ষিকীতে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত ফাঁস করেন, শুধুমাত্র টাকার জন্য সেই ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। সফল হওয়ার কখনও প্রত্যাশাও করেননি।
বিকাশ ভেল পরিচালিত 'কুইন' ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল। বক্স অফিসে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এই ছবি। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। যে সিনেমার প্রয়োজনা করেছিল ভায়াকম ১৮, বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে এবং অনুরাগ কাশ্যপ।
ছবি সম্পর্কে বলতে বলতে গিয়ে টুইট করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রায় এক দশক দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বলিউড আমায় জানিয়েছে ছবিতে প্রধান চরিত্র হিসেবে কাজ করতে আমি সক্ষম, কোঁকড়ানো চুল এবং বসা গলার আওয়াজ নিয়ে ছবি চুক্তির সময় ভেবেছিলাম, কুইন কখনও মুক্তিই পাবে না। ছবিটা সই করেছিলাম টাকার জন্য, সেই টাকা দিয়েই নিউ ইয়র্কে ফিল্ম স্কুলে পড়তে গিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিউ ইয়র্কে স্ক্রিন রাইটিং ২৪ বছরে ক্যালিফোর্নিয়ায় ছোট ছবি পরিচালনা আমাকে হলিউডে ব্রেক দিয়েছিল, আমার কাজ দেখে এক বড় এজেন্সি থেকে পরিচালক হিসেবে আমাকে নির্বাচন করা হয়েছিল। আমি নিজের অভিনয় সত্ত্বাকে হারাতে বসেছিলাম, কখনও ভাবতেই পারিনি বলিউডে ফের একবার কামব্যাক করব।’
কঙ্গনা আরও জানিয়েছিলেন তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে বাড়ি কিনেছিলেন এবং মার্কিন মুলুকে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এরপরই ‘কুইন’ মুক্তি পায় এবং জীবনে বদল আসে তাঁর। ভারতীয় সিনেমায় নতুন এক লিডিং লেডির জন্ম হয় বলে তিনি জানান।
অভিনেত্রী বলেন, ‘কুইন শুধুমাত্র আমার কাছে একটি ছবি নয়, এটার সঙ্গে জুড়ে আমার দীর্ঘ ১০ বছরের লড়াই। যা আমি পাওয়ার যোগ্য ছিলাম। কিন্তু যেগুলোর থেকে দূরে ছিলাম। সেগুলি দিয়েছে আমায় এই সিনেমা। আচমকা সেগুলো পেতে শুরু করি আমি। এটা আদুরে ছিল। আমি বিশ্বাস করি যেগুলি আপনার প্রাপ্য, সেগুলি থেকে কেউই আপনাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবে না। আপনি আপনারটাই পাবেনই।’
কুইনের জন্য ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড জেতেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। ২০১৯ সালে মিড-ডে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, কুইনের আগে বলিউডে নিজের কেরিয়ার নিয়ে সংশয়ে ছিলেন কঙ্গনা। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কেরিয়ার প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। এটা প্রায় শেষ মনে হচ্ছিল। আমার ক্ষতি হতে পারে সেসব ধরনের ছবি আমি করতে শুরু করেছিলাম। ১০ মিনিটের চরিত্রে ছবিতে অভিনয় করেছিলাম, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছেলের যানবাহন-লঞ্চের কাজেও অভিনয় করেছিলাম। মার্কিন মুলুকে আমার পড়াশুনো শেষ করার জন্য এসব কাজ আমি করতাম।’