প্রাক্তনরা নাকি বন্ধু হন না! এই বক্তব্যকে ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছেন বলিউডের আমির-কিরণ কিংবা হৃতিক-সুজান। এই উদাহরণ আরও অজস্র রয়েছে। সেইপথেই এবার টলিউডের এই প্রাক্তন জুটি। অনুপমের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পরমে ঘর বেঁধেছে পিয়া। তবে অনুপমের সঙ্গে বন্ধুত্বে ইতি টানেননি! আরও পড়ুন-পরমের সঙ্গে সুখী দাম্পত্য! তবুও প্রাক্তন অনুপমের কোন জিনিসে নজর পিয়ার?
এই মাসের গোড়াতেই গায়িকা প্রশ্মিতা পালকে বিয়ে করেছেন অনুপম। প্রাক্তনকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পিয়া। সম্প্রতি অনুপমের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লাইক দেন প্রাক্তন স্ত্রী। ঢাকায় গিয়ে রূপচাঁদা মাছভাজা তৃপ্তি করে খাওয়ার ছবি পোস্ট করেছিলেন অনুপম, তাতেই ভালোবাসার চিহ্ন আঁকেন (ইনস্টাগ্রামের লাইক বটন) পিয়া। এর কয়েকঘন্টা যেতে না যেতেই ফের ঢাকা ডায়রির বাছাই করা মুহূর্তের ভিডিয়ো কোলাজ পোস্ট করেন অনুপম। সেই পোস্টেই লাইক দেন পরমব্রত।
পরমের লাইকের স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই টনক নড়ে অভিনেতার। চটজলদি সেই পোস্ট ডিজলাইকও করে দেন অভিনেতা। নিন্দকদের মতে অনুপমের প্রোফাইলে গোপন নজরদারি চালাচ্ছিলেন পরমব্রত। ভুলবশতই লাইক দিয়ে ফেলেন।
অনুপমের সঙ্গে বিয়ে ভাঙলেও এখনও পরস্পরকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন অনুপম-পিয়া। পরমব্রতও ফলো করেন অনুপমকে। এই ত্রয়ীর ভার্চুয়াল ভাবের এই ব্যাপারটা অনেকের চোখে খটকা হলেও নিজেদের জীবনটা ‘নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছেন’ তাঁরা। অনুপম-প্রশ্মিতার বিয়ের পর পিয়া জানিয়েছিলেন, ‘অনুপমের জন্য শুভকামনা রইল’। অনুপমকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পুরনো বন্ধু পরমব্রতও।
গত বছর ২৭শে নভেম্বরে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইনি বিয়ে সারেন পিয়া। সেই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। আলোচনা থিতু হতেই তৃতীয় বিয়ে সেরে ফেলেন অনুপম রায়। এই মাসের শুরুতেই গায়িকা প্রশ্মিতা পালকে বিয়ে করেছেন তিনি। অনুপমের এটা তৃতীয় বিয়ে, অন্যদিকে প্রশ্মিতার দু-নম্বর। ২০১৭ সালে চিকিৎসক শৌনকের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন গায়িকা। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম শুরু হয়েছিল অনুপম আর প্রশ্মিতার সম্পর্কের জল্পনা।
বিয়ের পর প্রথম দোলে পরম-পিয়া একসঙ্গে রঙ মাখলেও সে সুযোগ পাননি অনুপম-প্রশ্মিতা। কাজের সূত্রে বাংলাদেশে ছিলেন অনুপম। ২০২১ সালের নভেম্বরে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ৬ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানেন অনুপম। সেই সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এই বিচ্ছেদ তাঁর জীবনের ‘সবচেয়ে বড় ক্ষতি’। যদিও আলাদা হওয়ার কারণ নিয়ে কেউই কখনও মুখ খোলননি। তবে সেই সময় উঠে এসেছিল তৃতীয় ব্যক্তির প্রসঙ্গ। বারবার নাম এসেছিল, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। দাবি উঠছিল, পরমব্রত-পিয়ার ঘনিষ্ঠতাই নাকি ছিল এই বিচ্ছেদের পিছনে।