বিয়ের রাত কাটতেই বিপত্তি! হাসপাতালে ছুটতে হল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নতুন বউ পিয়া চক্রবর্তীকে। সোমেই সাদামাটা আয়োজনে বিয়ের পর্ব সেরেছেন দুজনে। হঠাৎ হলটা কী? আরও পড়ুন-পিয়ার সঙ্গে বিয়ে সেরেই সুখবর দিলেন পরমব্রত! ২০২৪-এ ‘বড় ভাই’কে সামনে আনবেন
আরও পড়ুন-'পরমপিয়া'র রিসেপশনে আমন্ত্রিত টলিপাড়ার ৪ জন! মেনুতে মাটন ডাকবাংলো থেকে নকুড়ের সন্দেশ
সূত্রের খবর, শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চলেছেন পিয়া চক্রবর্তী। সেই নিয়ে জোর জল্পনা টেলিপাড়ায়। সোমবার দিনভর পরমব্রত-পিয়ার বিয়ের খবর নিয়ে হইচই চলেছে। ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এমন কী ঘটল? ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন পিয়া। কিডনিতে পাথর হয়েছে তাঁর। সেই নিয়েই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, বিয়ের পরদিন অর্থাৎ ২৮শে নভেম্বরই পিয়ার কিডনি স্টোনের অপারেশন হওয়ার কথা। সেই জন্যই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটেছেন নববিবাহিতা। নতুন জীবন আগেই শুরু করেছেন, এবার সেই জীবনে কোনওরকম যন্ত্রণার জায়গা নেই! বিয়ের অনুষ্ঠানের মাঝেও কিডনি স্টোনের যন্ত্রণা যথেষ্ট ভুগিয়েছে তাঁকে। সেইসময় পিয়াকে আগলে ছিলেন পরমব্রত।
প্রেমের কানাঘুষো ছিলই, সোমবার বিয়ের পর্ব সেরে চমকে দিলেন পরমব্রত। পাত্রী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। যদিও অনুপমের প্রাক্তনের বাইরে পিয়ার নিজস্ব পরিচয় রয়েছে, তিনি সমাজকর্মী। কাজ করেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও আর ভালোবেসে গান গান। সোমবার যোধপুরপার্কের বাড়িতে সইসাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেন পরমব্রত-পিয়া। দু-বছর ধরে গোপনে প্রেমপর্ব চলছিল। দীর্ঘ কেরিয়ারে অজস্র নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে পরমব্রতর। ডাচ সুন্দরী ইকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বসতেও বসা হয়নি। শেষপর্যন্ত পিয়ার চোখেই নিজের সর্বনাশ দেখলেন পরমব্রত! ৪৩ বছর বয়সে আইবুড়ো নাম ঘোচালেন নায়ক।
দুই পরিবার এবং হাতেগোনা বন্ধুদের পাশে নিয়ে বিয়ের পর্ব সারেন পরমব্রত-পিয়া। হাজির ছিলেন ২৫ থেকে ৩০ জন। বিয়ে মিটতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পিয়া। রিসেপশনের জন্য রেডি হতে গিয়েছিলেন পরম-সুন্দরী। ভবানীপুর হাউসে বসেছিল পরম-পিয়া বিয়ের নৈশপার্টি। সেখানেও আমন্ত্রিতের সংখ্যা হাতেগোনা। রিসেপশনের জন্য পরমব্রত সেজেছিলেন সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে, সঙ্গে নীল রঙা জহর কোট। পিয়ার পরনে ছিল প্যাস্টেল রঙা বেনারসি। এই বিয়ে নিয়ে সোশ্যালে ব্যাঙ্গ, বিদ্রুপ বা কটূক্তির শেষ নেই। তবে অনুরাগীদের মুখে এখন একটাই কথা, ‘সেই রাজা রাণীর ভালো হোক’।