আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছেন পরিণীতি চোপড়া। আর হবে নাই বা কেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ হ্যান্ডসাম হাঙ্ক রাঘব চাড্ডাকে মন দিয়েছেন যে তিনি। মঙ্গলবার রাতে রাজনীতিবিদ সঞ্জীব অরোরার একটি টুইট ব্যাপরটাকে আরও আকর্ষক করে তুলেছে। হঠাৎই তিনি শুভেচ্ছা জানিয়ে বসেন পরী আর রাঘবকে। ব্যস, তারপর থেকে শুরু নতুন খবর। বাগদান হয়ে গেছে, এখন সাত পাকে ঘোরাটাই যা বাকি।
এসব জল্রনা-কল্পনার মাঝে বুধবার পরিণীতি মুখোমুখি হলেন পাপারাৎজিদের। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় নায়িকাকে পেয়ে ছেঁকে ধরেন ফোটোগ্রাফাররা। ‘ম্যাম যেটা শুনছি সেটা কি সত্যি’, ‘ম্যাম কবে আপনার বিয়ে’, ‘পরী ম্যাম রাঘব স্যারের ব্যাপারে কিছু বলুন’-এর মতো নানা প্রশ্ন ধেয়ে আসতে থাকে। মুখ থেকে একটাও কথা খরচ করেননি ‘রাঘব-বান্ধবী’। লজ্জায় দুই গাল তখন লাল। ফোটোগ্রাফাররা পিছনে লাগার এরকম সুযোগও ছাড়েননি! অভিনেত্রীর ব্লাশ করা নিয়ে ভেসে আসতে থাকে নানা মন্তব্য ক্যামেরার পিছন থেকেও। হেসে কোনওরকমে গাড়িতে উঠে যান তিনি। মাঝে একবার ছোট্ট করে ‘হুমম’ও বলেন। এসব দেখে ধারণা করাই যাচ্ছে শুভ কাজে আর সেরকম দেরি নেই!
এর আগে সংসদ ভবনের বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাঘবকেও। তাতে রাজনীতবিদের সলজ্জ জবাব ছিল, ‘পরিণীতি নয়, রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন…’। সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছিলেন, লুকিয়ে নয়, বিয়েটা জানিয়েই করবেন!
মঙ্গলবার সঞ্জীব আরোরা টুইট করেন, ‘আমি রাঘব ও পরিণীতিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। পরিণীতি ও রাঘবের এই বন্ধন প্রেম ও আনন্দে ভরে উঠুক।’
আসলে রাঘব আর পরিণীতি কিন্তু একে-অপরকে বহুদিন থেকে চেনেন। লন্ডনে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। তবে সেই বন্ধুত্বই এখন প্রেমের রূপ নিয়েছে। তাই তো পোশাকে রং মিলান্তি করে পরপর দু দিন মুম্বইতে লাঞ্চ আর ডিনার ডেট সেরে ফেলেছিলেন। তখনই গোটা ব্যাপারটা সামনে আসে। কয়েকদিন আগে অভিনেত্রীকে ডিজাইনার মণীশ মলহোত্রার বাড়িতেও দেখা গিয়েছিল। এখন দেখার কবে আসে সেই শুভ দিন। দিদি প্রিয়াঙ্কার মতো ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-ই করবেন নাকি ‘জাবরিয়া জোড়ি’ অভিনেত্রী!
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)