সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্নিবারকে নিয়ে চলছে নানা কটাক্ষ। তবে সেসবে কান না দিয়ে নিজের হানিমুনের পরিকল্পনা ফাঁস করলেন গায়ক।
1/6দ্বিতীয় বিয়ে করে চরম কটাক্ষের মুখে দুর্নিবার আর ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহর। দু বছরে দু বার বিয়ের পিঁড়িতে বসা নিয়ে দিনকয়েক ধরে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি গায়ককে। ঐন্দ্রিলা পেশায় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনসংযোগ আধিকারিক। অনেকে তো এমনও দাবি করেছেন ‘কেরিয়ারের স্বার্থে’ এই বিয়ে।
2/6সম্প্রতি এক বাংলা সংবাদমাধ্যমের কাছে বিয়ে নিয়ে চলতে থাকা কটাক্ষে মুখ খুললেন দুর্নিবার। জানালেন, ‘এই বিষয়ে আমরা আর কী বলব? আমরা দু’জনে ভালো আছি, এটাই তো একমাত্র কাম্য হওয়া উচিত। এর থেকে বেশি আর কী চাওয়ার থাকে? তবে এটা আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই যে, হ্যাঁ আমরা সমাজের হেনস্থার শিকার। তা বলে আমাদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা জানি এমন পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হয়।’
3/6মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনাও ফাঁস করলেন দুর্নিবার। কোনও জায়গার নাম না নিলেও জানালেন বিদেশের এক নির্জন দ্বীপেই একান্তে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে চান। খুব শীঘ্রই নতুন বউকে নিয়ে বিদেশের কোনও এগজটিক লোকেশনে উড়ে যাবেন দুর্নিবার।
4/6৯ মার্চ শহরের এক নামী ব্যাঙ্কোয়েট হলে বসেছিল বিবাহআসর। লাল বেনারসি, সঙ্গে গা ভর্তি সোনার গয়নায় কনে সেজেছিলেন ঐন্দ্রিলা। আর বর দুর্নিবার পরেছিলেন সাদা পঞ্জাবি যাতে লাল সুতোর কাজ। বিয়ের মঞ্চে হাসিখুশি মেজাজে ধরা পড়েছেন দুজনে সব ছবিতেই।
5/6দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলার বিয়েতে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। তিনিই ছিলেন কনে-কর্তা। পিঁড়ি ধরেন, শাঁখ বাজান। ‘মেয়ে’কে হাত ধরে মণ্ডপেও নিয়ে আসেন। বিয়ের দিন উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিতের ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুকও। বিয়েবাড়িতে আসা সব অতিথিদের আপ্যায়ন করেন বাবা-ছেলে।
6/6প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন দুর্নিবার মীনাক্ষীকে। তবে তা ছিল আইনি বিয়ে। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে ঘটা করে করেন সামাজিক বিয়ে। কিন্তু কয়েকমাস যেতে না যেতেই ছন্দপতন। ওই বছর ডিসেম্বরেই আলাদা হন দুজনে। আর সেই মাসেই দুর্নিবারের জীবনে এন্ট্রি ঐন্দ্রিলার। ডিভোর্সের কারণ নিয়ে মুখ না খুললেও দুর্নিবারের কথায়, ‘কিছু সম্পর্ক যে ঠিক নয়, তা বোঝার পর একটা জায়গায় এসে মনে হল এতদিনে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখছে কেউ। মোহর আমার জীবনের সেই মানুষটা। …. সম্পর্কে এতটা ঠিক নিজেকে কোনওদিন মনে হয়নি’।