পরীমনির ছেলে রাজ্য ভীষণই অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই ছেলেকে নিয়ে এপার বাংলায় এসেছেন। কলকাতার হাসপাতালে চলছে পরীমনির নয়নের মণি রাজ্যর চিকিৎসা। তবে বর্তমানে সে সুস্থ আছে। সে খবরও নায়িকা নিজেই জানিয়েছিলেন। তবে ছেলের এই দুঃসময়ে তিনি একাই সামলেছেন তাকে। শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একা হাতেই রাজ্যকে মানুষ করছেন তিনি। কিন্তু ছেলের অসুস্থতার পর তাকে দেখতে না এলেও একটি পোস্ট করলেন। আর সেটাই বর্তমানে দারুণ ভাইরাল।
শরিফুল রাজের ভাইরাল পোস্ট
ছেলে অসুস্থ হতে, বহুদিন পর তাকে নিয়ে একটি পোস্ট করলেন বাংলাদেশি অভিনেতা শরিফুল রাজ। এদিন তিনি তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্টে ছেলের কথা উল্লেখ করে লেখেন, 'শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।' একই সঙ্গে একটি স্টিকার পোস্ট করেন তিনি। পরীমনির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর এই প্রথমবার ছেলেকে নিয়ে কিছু বললেন শরিফুল। তবে তিনি সেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উইকেন্ডের আগেই পার্টি মুড অন! ফাইটারের গানে মেয়ের সঙ্গে আয়ুষ্মানের নাচ দেখে কী বললেন মুগ্ধ হৃতিক?
আরও পড়ুন: 'আপনারাও চেনেন?' মানুষ চেনাতে বিশেষ পোস্ট ইমনের, ভক্তদের দিলেন কোন টিপস?
কী হয়েছিল রাজ্যর?
সম্প্রতি গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে গিয়ে বোনেদের সঙ্গে চুটিয়ে মজাও করেন তিনি। কিন্তু তারপরই আচমকা নেমে এল এই বিপদ। গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে তিনি একা নন। তাঁর পরিবারের পাঁচজন এমনকি তাঁর একরত্তি ছেলেও গুরুতর অসুস্থ হয়। সকলেই ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। বাকিরা ছাড়া পেলেও পরীমণির ছেলে রাজ্যর অবস্থা খারাপ ছিল। রবিবার, ১৪ জানুয়ারি পরীমণি তাঁর ফেসবুকের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তাঁর ছেলের হাত দেখা যাচ্ছে যেখানে স্যালাইনের চ্যানেল করা। তিনি এই পোস্টের সঙ্গে একটি লম্বা পোস্টও করেন।
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে, শ্বেতার পর এবার রহস্যজনক পোস্ট অভিষেকের, ব্যাপারটা কী?
পরীমণি এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, 'শীত কালে সবাই খাবার দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেফ থাকা মুশকিল। বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমান মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিলো। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালক সহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকভার করলেও পুন্য এখনো হসপিটালাইজড!'
প্রসঙ্গত এরপর গত বুধবার পরীমনি ছেলে রাজ্যকে নিয়ে কলকাতায় আসেন। তারপর এখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা চলে তার। এখন সে সুস্থ আছে। ছাড়া পেয়েছে হাসপাতাল থেকে। মায়ের সঙ্গে ট্যাক্সি করে তাকে কলকাতার ইতিউতি ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে।