বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমনি-র জীবনের ওঠাপড়া যেন আর থামার নাম নিচ্ছে না। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ কোনওরকমে সামলে উঠেছিলেন, এরই মাঝে হারালেন দাদুকে। বৃহস্পতিবার মারা যান শামসুল হক গাজী। মা-বাবা চলে গিয়েছিল সেই ছোট বয়সেই। তারপর থেকে এই দাদুর কাছেই মানুষ। অভিনেত্রী নাতনিকে সবসময় সামলে রাখতেন গাজীসাহেব। তবে এবার একা করে দিয়ে চলে গেলেন পরপারে।
দাদাুকে নানুভাই বলে ডাকতেন পরীমনি। গত কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধ ছিলেন অসুস্থ। ভর্তি করা হয়েছিল ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যাচ্ছে, দাদুর মরদেহ নিয়ে ভিঁটে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় গিয়েছেন বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। দিদিমার মরদেহর পাশেই তাঁকে কবর দেওয়া হবে।
প্রায় সব সাক্ষাৎকারেই পরীমনির মুখে থাকত নানুরই কথা। সেই নানুকে ছাড়া দিন কাটানোর আশঙ্কা কয়েকদিন ধরেই তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। আর সেটাই সত্যি হল। দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘নানার এখন যা অবস্থা, কখন যে কী ঘটে যায়, বলা যায় না। আমি ভাবতেই পারছি না। নানা না থাকলে আমার যে কী হবে! কী ভাবে যে থাকব আমি!’ আরও পড়ুন: ‘বউ পেটাবে আমাকে…’, বয়সের ফারাক ১১, বাড়িতে এই কাজ ভুলেও করেন না রণবীর
২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে পরীমনি ও শরিফুল রাজের সম্পর্কের খবর। তার কয়েকদিন পর ওই বছরেরই ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে বিয়ে করেন রাজ-পরীমনি। বিয়ের পরপরই পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর মেলে। ১০ মাসের মাথাতেই পরীমনির কোলজুড়ে আসে তাঁদের সন্তান। স্বামীর সঙ্গে মিলিয়ে অভিনেত্রী ছেলের নাম রেখেছিল রাজ্য। তবে সন্তানের জন্মের পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য কলহের খবর সামনে আসতে থাকে। এখন ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে দুজনের। কিছুদিন আগে তো ডিভোর্সের চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তিনি স্বামীকে। তারপর থেকে নানুর সঙ্গেই থাকছিলেন। এখন সেই আশ্রয়ও হারালেন। দু বছরের ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে হয়ে গেলেন সম্পূর্ণ একা।
পরীমনির দাদাুর মৃত্যুর খবর ফেসবুকে দেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। তিনি লিখেছিলেন, ‘পরীমণি কী হারিয়েছে, তা শুধু সেই জানে। এই নানা তার জীবনের কী ছিল, তা আমরা দেখেছি। মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে আছে পরীমণি। জানি না এই শোক সইবে কী করে পরী।’