Ranbir-Alia: ‘বউ পেটাবে আমাকে…’, বয়সের ফারাক ১১, বাড়িতে এই কাজ ভুলেও করেন না রণবীর

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে করেন রণবীর আর আলিয়া। নভেম্বরেই মা হয়েছেন আলিয়া। একাধিকবার দুজনের সম্পর্ক উঠে এসেছে চর্চায়। দেখুন, বাড়িতে কোন কাজ একেবারেই করেন না অ্যানিম্যাল ছবির অর্জুন।

বৃহস্পতিবারই মুক্তি পেয়েছে ‘অ্যানিম্যাল’-এর ট্রেলার। যেখানে মুখ্য চরিত্রে থাকা রণবীর কাপুরকে দেখে অনেকেরই সঞ্জয় দত্তের কথা মনে পড়ছে। হলেও, রণবীরের শিহরণ জাগানো অভিনয় যে কাওকে চমকে দেবে। রক্তারক্তি, মারামারি, হিংসাত্মক ঘটনা দেখে দর্শক হতবাক হবেনই। কিন্তু হয়তো টানটান উত্তেজনা থাকার কারণে চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারবেন না। ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে এসে রণবীর কাপুরও একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, অর্জুনের চরিত্রটা তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। 

বরাবরই রণবীর মেথড অ্যাক্টিংয়ে বিশ্বাসী। শ্যুটিং চলাকালীন তাহলে কি রণবীর অর্জুনের চরিত্রেই থাকতেন? শুনেই সাফ মানা করে দিলেন আলিয়ার বর। কারণ তাহলে বউ নাকি মারতেন। 

আসলে অ্যানিম্যালের শ্যুটিং শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই জন্ম হয়েছিল তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তান রাহার। আর এই অবস্থায় অর্জুনের মতো মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত কোনও চরিত্রকে যদি বাড়িতেও নিয়ে আসতেন নিজের মতো করে, ছেড়ে কথা বলতেন না আলিয়া। কারণ, কোনওভাবেই যে তা ছোট্ট রাহার জন্য ভালো হত না। 

রণবীর বলেন, ‘আমি কখনোই কোনও চরিত্রকে নিজের সঙ্গে করে বাড়িতে নিযে যাই না। কারণ তা আমাদের পরিবারের মানুষগুলোর জন্য ঠিক নয়। আর যদি তা করতাম, তাহলে আমার বউ আমাকে মারত।’

অ্যানিম্যালের ট্রেলার দেখে মন্ত্রমুগ্ধ আলিয়া। বরের ছবির ট্রেলার ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ক্যাপশন টাইপ করার সময়টাও পাচ্ছি না। এই নিয়ে ৭ হাজার বার দেখে ফেলেছি ট্রেলারখানা। এটা আমার মনকে বিস্ফোরিত করেছে। আমাকে এই সিনেমাটা দেখতেই হবে। অ্যানিম্যাল পয়লা ডিসেম্বর থেকে সিনেমাহলগুলিতে আগুন লাগাতে আসছে।’ 

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে করেন রণবীর আর আলিয়া। কিছুটা আচমকাই বিয়েটা হয়। তবে তার চেয়েও অবাক করেছিল মাত্র ২৯ বছর বয়সে আলিয়ার মা হওয়ার সিদ্ধান্ত। জুন মাসে সন্তান আসার খবর শেয়ার করে নেন রণবীর-পত্নী। রাহার জন্ম হয় নভেম্বরে। মেয়েকে আপাতত সামাজিক মাধ্যম আর পাপারাৎজিদের ক্যামেরা থেকে দূরেই রেখেছেন আলিয়া আর রণবীর। 

ট্রেলারে দেখা গিয়েছে, বাবার ভালোবাসার কাঙাল অর্জুন ছেলেটি (রণবীর), কিন্তু ব্যস্ত বাবা কখনও সময়ই দিতে পারেননি সেভাবে। আর বাবাকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ করে তোলে তাকে। এমন অবস্থা হয় যে মানুষ খুন করতেও কুণ্ঠা হয় না তাঁর। ট্রেলারের শুরু থেকে শেষ, রণবীরকে দেখা যায় রক্তের বন্যা বইয়ে দিতে। A সার্টিফিকেট দিয়েছে সেন্সর বোর্ড সন্দীপ ভাঙ্গা রেড্ডি পরিচালিত ছবিখানাকে।