অবশেষে সমাপ্তি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বর্ণময় জীবনের। নিজের জীবনে প্রায় সারাটা কালই অধ্যাপনা ও পরবর্তী সময় রাজনৈতিক কার্যকলাপে ব্যস্ত ছিলেন প্রণববাবু। খুব বেশি ফুরসত পেতেন না, ও পেলেও সেখানে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন রবি চর্চায়।
তাঁর সমসাময়িক যুগের রাজনীতিবিদ অটল বিহারী বাজপেয়ী ও লাল কৃষ্ণ আডবানি হিন্দি ছায়াছবির বিশেষ অনুরাগী হলেও সেই রসে বঞ্চিত ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। জীবনের সায়াহ্নে এসে অবশ্য দুটি ছবি দেখেছিলেন প্রণববাবু।
রং দে বসন্তী ছবির থিমে সেনার বিভিন্ন কর্মপ্রণালী নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কী মতামত, সেই নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন ছিল তত্কালীন সেনসর বোর্ডের প্রধান শর্মিলা ঠাকুরের মনে। তাই তিনি ও আমির খান, তত্কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ পাঠান এই সিনেমাটি দেখার জন্য। কিন্তু সিনেমার মাত্র প্রথম ফার্স্ট হাফটি দেখেই উঠে চলে যান প্রণববাবু। সোজা বলে দেন, যে আমার কাজ দেশকে রক্ষা করার, সিনেমোর সার্টিফিকেট দেওয়ার নয়।
এরপর রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রণববাবু অমিতাভ ও দীপিকা পাড়ুকোনের পিকু ছবিটি দেখেন। ডেকে নিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানিকে। একজন বয়স্ক বাবা ও মেয়ের গল্প পিকু ছুঁয়ে যায় আডবানি ও প্রণববাবুকে।