টলিউডের প্রিয় জুটি রাজ চক্রবর্তী আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দুজনের রোজনামচা দেখতে বেশ পছন্দও করেন নেট-নাগরিকরা। সোমবার যেমন পাঠান দেখতে যাওয়ার আর রেস্তোরাঁয় ভুরিভোজের ছবি শেয়ার করলেন শুভশ্রী ইনস্টাগ্রামে। সাদা ঢিলেঢালা শার্ট পরে আছেন ইউভানের মা, চোখে হালফ্যাশনের চশমা। হাতে একটি মকটেলের গ্লাস নিয়ে ছবির জন্য দিয়েছেন পোস্ট। অন্য দিকে, নীল রঙের শার্ট আর চোখে কালো ফ্রেমের চশমা রাজের। ক্যামেরার দিকে চুমু ছুঁড়ে দিচ্ছেন। বরের ছবি শেয়ার করে শুভশ্রী লিখলেন, ‘আমার ভালোবাসার মানুষ এসে গেছে @rajchoco’। শুভশ্রীর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে জানা গেল, সোমবার পাঠানও দেখলেন তিনি।
দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। প্রেগন্যান্সির সেকেন্ড ট্রায়মেস্টারে রয়েছেন তিনি। জুনে দিয়েছিলেন দ্বিতীয় সন্তান আসার খবর। সব ঠিক থাকলে, ডিসেম্বরেই চক্রবর্তী পরিবারে আসবে ইউভানের ভাই বা বোন।
জুনে ইউভানের একটি ছবি শেয়ার করে নেন রাজ-শুভশ্রী সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায়, দু দিক থেকে ছেলের হাত ধরে আছেন মা-বাবা। আর ইউভানের টি-শার্টে লেখা রয়েছে, ‘বিগ ব্রাদার’ কথা দুটো।
২০১৮ সালের ১১ মে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাওয়ালি রাজবাড়িতে ধুমধাম করে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন রাজ-শুভশ্রী। এরপর ২০২০ সালের মে মাসে দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী-র দিন প্রথম সন্তান আসার সুখবর শেয়ার করে নেন। সেপ্টেম্বরে কোল আলো করে আসে ইউভান। আপাতত এখন দ্বিতীয় সন্তান আসার অপেক্ষা।
গত কয়েকবছরে ছক ভেঙে একের পর এক চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুভশ্রী। ২০১৯ সালে পরিণীতা দিয়ে শুরু। এরপর অবশ্য করোনা আর মাতৃত্বের কারণে ছোট্ট বিরতি। ২০২২ সালে মুক্তি পায় হাবজি গাবজি। একেএকে ধর্মযুদ্ধ, বিসমিল্লা, বৌদি ক্যান্টিনে শুভশ্রী মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের। তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-ও খুব ভালোবাসা পেয়েছে। শেষ দেখা গিয়েছে শুভশ্রীকে ‘ডাক্তার বক্সী’-তে।
সৃজিতের পুজো রিলিজ ‘দশম অবতার’-এও কাজ করার কথা ছিল শুভশ্রীর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্যর সঙ্গে নাম ছিল রাজ-পত্নীরও। কিন্তু প্রেগন্যান্সির কারণে সৃজিত শুভশ্রীর জায়গায় পরে নেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। সেই প্রসঙ্গে শুভশ্রী জানিয়েছিলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম ছবিটা করতে, কিন্তু সৃজিত কনফিটেন্ড ছিল না। আমাকে ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতেই হত’। তবে হাত থেকে এত বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়াতেও কোনও আফশোস নেই তাঁর। জানান, এরকম অনেক কাজ এর আগেও হারিয়েছেন।