একদিকে যেখানে দলিত এবং পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া বিরোধীরা, সেখানে বিজেপি তাদের জনদরদী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছে দেশের সামনে। এই রেষারেষির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু হল সংরক্ষণের। বিরোধীদের দাবি, বিজেপি সব সংরক্ষণ তুলে দেবে। আর সেই অভিযোগ বা দাবির জবাবে এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে গিয়ে মোদী বলেন, 'সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য ন্যায় সুনিশ্চিত করা হল আমাদের পূর্বপুরুষদের হয়ে প্রায়শ্চিত্ত করার সামিল।' (আরও পড়ুন: সস্তা হতে পারে বিমানের টিকিট, উড়ানের ভাড়া নিয়ে বড় নির্দেশ DGCA-র)
আরও পড়ুন: অজান্তেই এতদিন ঠকছিলেন? ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে কড়া বার্তা RBI-র
মোদী এদিন সংরক্ষণ ইস্যুতে আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'বিগত পাঁচ বছরে আমার রেকর্ড দেখে নিন। সংসদে আমার কাছে সংখ্যা ছিল। তবে আমি সংরক্ষণকে সরানোর পথে কখনও হাঁটতে চাইনি। আমাকে ছেড়ে দিন, বাবা সাহেব আম্বেদকর যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি নিজেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত থেকে সংরক্ষণ সরিয়ে দিতে পারতেন না। আমি সব পিছিয়ে পড়া জাতি, এসসি, এসটি, ওবিসিদের কল্যাণের নীতি অনুসরণ করে কাজ করে যাব।'
আরও পড়ুন: ভোটের মাঝে NDA-তে লাগল দাগ, প্রাক্তন PM'র নাতির সেক্স ভিডিয়ো নিয়ে কী বললেন শাহ
আরও পড়ুন: পান্নুন কাণ্ডে RAW এজেন্টের নামে বিস্ফোরক দাবি ওয়াশিংটন পোস্টের, পালটা জবাব ভারত
সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগামী দিনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তফসিলি জাতি, জনজাতি, পিছিয়ে থাকা অংশের সংরক্ষণ তুলে সংখ্যালঘুদের দিয়ে দেবে। মোদী এলে সংরক্ষণ তুলে দেওয়া হবে, বলে কংগ্রেস মিথ্যা প্রচার করছে। ক্ষমতায় এসে এনডিএ সরকার দলিত পুত্রকে রাষ্ট্রপতি করেছে। ২০১৯ সালে জনজাতির প্রতিনিধি এক নারীকে রাষ্ট্রপতি করেছে। স্বাধীনতার পর এমনটা হয়নি। আমার গর্ব যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ৬০ শতাংশ মানুষ এই বর্গের। তফসিলি জাতি, জনজাতি ওবিসি বিধায়ক-সাংসদদের সংখ্যা বিজেপি-তে সবচেয়ে বেশি। কংগ্রেস এদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।'
আরও পড়ুন: জলস্তর নামছে হুগলি নদীর, প্রবল গরমে এবার নয়া সংকটের মুখে তিলোত্তমা
নিজের সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মোদী বলেন, 'গত ১০ বছরে দেশে সামাজিক ন্যায়ের জন্য যত কাজ হয়েছে তা স্বাধীনতার পর কখনও হয়নি। ৬০ বছর ক্ষমতায় থেকে কংগ্রেস সরকার দলিত, জনজাতি, তফসিলিদের সমস্ত দাবি ও অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার নিরন্তর প্রয়াস করে গিয়েছে। তাদের নীতি হল, সমাজের এই অংশ এতটাই দুর্বল থাক, যাতে তরা কংগ্রেসেরই আশ্রিত হয়ে থাকে চিরকাল। যখন ভোট দরকার, আদায় করে নিতে সুবিধা হবে।' মোদী আরও বলেন, 'দলিত জনজাতি ওবিসিভুক্ত মানুষ কংগ্রেসের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়ে আরও বেশি করে বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আর সেটা দেখেই কংগ্রেস চেষ্টা করছে তাঁদের জন্য সংরক্ষিত স্থান লুট করে তা সংখ্যালঘুদের হাতে দিয়ে দিতে। কর্ণাটকেও সংখালঘুর তারা সংরক্ষণ দিয়েছে। কংগ্রেস জমানায় তফসিলি জাতি ও জনজাতির হাল সবচেয়ে খারাপ ছিল। মোদীর লক্ষ্য হল, সমাজের একেবারে নীচু স্তরে থাকা মানুষটির কাছে যাতে উন্নয়নের সব চেয়ে বেশি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।'