কলকাতা বলা ভালো দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা হল রবীন্দ্র সরোবর বা স্থানীয়দের কাছে এক ডাকে না পরিচিত লেক হিসেবে। জায়গাটা বিখ্যাত না কুখ্যাত সেটা তর্ক সাপেক্ষ। কিন্তু জনপ্রিয় তো বটেই। মর্নিং ওয়াক বলুন কিংবা ইভিনিং ওয়াক, ছুটির দিনে একটু বেরু বেরু বলুন কিংবা প্রেমিক/প্রেমিকার হাত ধরে ঘুরতে যাওয়া সব কিছুর জন্যই আদর্শ জায়গা হচ্ছে লেক। কিন্তু এ হেন জায়গা গেলে আপনি নানা ধরনের মানুষ দেখতে পারবেন। কেউ গিটার বাজিয়ে গান গাইছে, কেউ শরীর চর্চাতেই মগ্ন, কেউ কেউ গোল হয়ে আড্ডার আসর বসিয়েছেন। এঁরা কিন্তু আবার সমস্ত চা বিক্রেতা থেকে অন্যান্য সকলকেই চেনেন। আহা রোজই এঁদের আগমন ঘটে কিনা এখানে। এছাড়া দেখা যায় কপোত কপোতীদের। আর এই শেষ দলে যাঁরা পড়েন তাঁরা যখন প্রথমবার রবীন্দ্র সরোবর আসেন তখন তাঁদের কী মনে হয়, কেমন অভিজ্ঞতা হয় সেটাই মজার ছলে এবার তুলে ধরলেন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার প্রেরণা দাস।
প্রথমত এখানে যাঁরা মাঝে মধ্যে আসেন বা প্রথমবার আসেন তাঁদের ছবি তোলার শেষ থাকে না। একে তো চারদিকে এত সবুজ, তায় খোলা মাঠ, তারপর আবার দোলনা আর লেকও আছে। ফলে কখনও কানে ফুল গুঁজে কখনও লেকের ধারে, কখনও গাছ জড়িয়ে ছবি তোলা চাই চাই।
শুধুই কি তাই? দুষ্টু মিষ্টি দৃশ্য যে দেখা যায় ইতিউতি। সেটা দেখেই অনেকেই ব্যোমকে যান। সেই কোথাও মনে করিয়ে দিলেন এদিন প্রেরণা। 'এই ওটা ওরা কী করছে?', 'এটা কী দেখছি' এ হেন নানা প্রশ্ন করে সঠিক ভাবেই সাধারণ মানুষের মনের কথা ফুটিয়ে তোলেন তিনি। বাদ দেন খাবার অংশটা ভিডিয়োয় তুলে আনতে। আহা লেক মানে কি কেবলই চা নাকি! ধুস! আইসক্রিম, চাট, ঝালমুড়ি, না জানি আরও কত কীই পাওয়া যায়। ফলে সেটা ভিডিয়োতে থাকবে না হয়।
মজার ছলে বাঙালির থুড়ি কলকাতাবাসীর অতি প্রিয় এবং পছন্দের জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা টুকরো স্মৃতি এবং কথা এভাবেই তুলে ধরেন প্রেরণা। আর তাঁর কাণ্ড দেখে হেসে খুন তাঁর ভক্তরা। এক ব্যক্তি লেখেন, 'যিনি ভিডিয়ো করছেন তিনি যে কীভাবে হাসি চেপে রেখেছেন ভাবছি!' কেউ কেউ আবার এত ন্যাকামো দেখে বেজায় চটেছেন!