২০২২ সালের গোড়ায় মা হন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সারোগেসি পদ্ধতিতে তাঁর ও নিক জোনাসের এক শিশুকন্যা হয়, নাম রাখা হয় মালতী মেরি চোপড়া জোনাস। তবে সন্তান হওয়ার পর এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কেন সারোগেসি পদ্ধতিতে মা হলেন প্রিয়াঙ্কা? মেয়ের এক বছর বয়স হওয়ার পর যেন তারই জবাব দিলেন অভিনেত্রী। ‘দেশি গার্ল’ জানান, সন্তান জন্ম দেওয়ার অনেক আগেই প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন তিনি। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে শুরু করেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। সে কথা জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, মায়ের কথাতেই এই পদক্ষেপ নেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: নিকের সঙ্গে প্রেম চাননি প্রিয়াঙ্কা! প্রস্তাব যখন পান, তখন ছিলেন ‘জটিল সম্পর্কে’
আরও পড়ুন: ৪০ বছর বয়সে বাইক চালানো শিখলেন দিয়া, কেন এর কিছুটা ক্রেডিট দিচ্ছেন তাপসীকে
তবে নিককেও বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না প্রিয়াঙ্কা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘নিক ২৫ বছর বয়সে সন্তান নেওয়ার কথা ভাববে কি না, তাই নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। তাই ওকে ডেট করতেও চাইনি।’ এদিকে বাচ্চা ভীষণ পছন্দের। সে কথাই এদিন বলেন ‘দেশি গার্ল’। এমনকী বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের সঙ্গেই সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসেন নায়িকা। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘আমি বাচ্চা ভালোবাসি। সন্তান নেওয়ার ইচ্ছেও ছিল। তবে সেই সময় আমি এমন কাউকে পাইনি যার সঙ্গে বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতে পারি। অন্যদিকে আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কেরিয়ারেও সফল হতে চেয়েছিলাম। তাই মায়ের পরামর্শে তিরিশে পা দিয়েই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে শুরু করেছিলাম।’
সম্পর্কে জড়ানোর কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা আর নিক। তবে দু’জনের বয়সের পার্থক্য ছিল ১০ বছরের বেশি। নিকের বয়স যখন ২৫, তখন ৩৫ পেরিয়ে গিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এই দিন কর্মরত মহিলাদেরও ডিম্বাণু সংরক্ষণের পরামর্শ দেন প্রিয়াঙ্কা। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর নিষেকের ক্ষমতা কমে যায়। তাই কিছু টাকা জমিয়ে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখলে পরবর্তীকালে সন্তানধারণে কোনও সমস্যা হয় না। একই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, একজন মহিলা যতদিন চান, ততদিন কাজকর্ম করতে পারবেন। ডিম্বাণু একবার সংরক্ষণ করা থাকলে সেটার বয়স আর বাড়ে না। ফলে সন্তানধারণেও কোনও সমস্যা হয় না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup