নিজে একথা বিশেষ মানতে না চাইলেও 'তিনিই ইন্ডাস্ট্রি'। একথা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বহু অংশে সত্যিই। একসময় প্রসেনজিতের ছবি মানেই ব্লকবাস্টার। 'বুম্বা'দার ছবি চললেই হলের বাইরে ঝুলত হাউসফুল বোর্ড। তবে শুধু সিনেমা কেন, এরাজ্যে বহু প্রান্তে শো করতে গিয়ে মঞ্চও কাঁপিয়েছেন 'বুম্বাদা', তাঁকে একটিবার দেখার জন্য ভিড় জমাতেন অনুরাগীরা।
তবে এসব শুধুই পুরনো কথা নয়। আজও প্রসেনজিৎ মানেই ছবি হিট। তা তিনি তাঁর শেষ বাংলা ছবি মুক্তিতেও বেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর মঞ্চেও তাঁকে দেখার জন্য আজও সেই একই উন্মাদনা থাকে। ঠিক যেমনটা হল বর্ধমান উৎসবে। সবুচ গালিচা পাতা উৎসবমুখর মঞ্চে উঠে গান ধরলেন 'চোখ তুলে দেখো না, কে এসেছে…/নতুন করে আবার বিয়ের সানাই বেজেছে…/তুলে নিয়ে যাব যখন ভালোবেসেছি/সাতপাকে বেঁধে নিয়ে যেতে এসেছি…'। মাইক্রোফোন হাতে গাইতে গাইতে ব্যাকগ্রাউন্ডে পারফর্মারদের সঙ্গে জমিয়ে নাচলেন প্রসেনজিৎ। মঞ্চের সেই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছিল দর্শক আসনেও।
আরও পড়ুন-আমিরকে 'হিন্দুফোবিক' বলেছিলেন, ইরার রিসেপশনে গিয়েও ‘জয় শ্রীরাম’ বললেন কঙ্গনা
আরও পড়ুন-বাঙালি সাবেকি সাজে কনে সাজলেন, সিঁথি রাঙল সিঁদুরে, এনার 'শুভ বিবাহ'! পাত্র কে?
অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো শেয়ার করে নীলপুর বর্ধমানবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিতের এই ভিডিয়োর নিচে অনুরাগীদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সকলের একটাই কথা 'কে বলবে প্রসেনজিতের বয়স নাকি ৬১!', কেউ লিখেছেন, ‘এই বয়সেও এত এনার্জি!’ কারোর মন্তব্য, ‘প্রসেনজিত মানেই সবকিছু ইতিবাচক…’, কারোর মন্তব্য, ‘বয়স এক জায়গায় দাড়িয়ে আছে দাদা আপনার এখনো! সেই ছোট্ট বেলার দেখা hero আপনি, এখনো একই রকম’। যাঁরা প্রসেনজিতের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা এককথায় বুম্বাদার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ।
প্রসেনজিৎ অভিনীত 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ' মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে। নায়িকা ছিলেন ঋতুপর্ণা। পরিচালক ছিলেন হরনাথ চক্রবর্তী। সেসময় দাঁড়িয়ে ৬০-৭০ লক্ষ টাকায় তৈরি ছবি ব্যবসা করেছিল আড়াই কোটি। শেষবার প্রসেনজিৎকে দেখা গিয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'দশম অবতার' ছবিতে।