সময় সুযোগ পেলেই কলকাতা ছেড়ে বীরভূমের গড়গড়ি গ্রামের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন শিলাজিৎ। সেখানে তাঁর আস্তানায় রয়েছে। গড়গড়ি গ্রামের মানুষদের সঙ্গে তাঁর দারুণ দোস্তি। সেখানকারই বাসিন্দা সোনামণি রুজ। সম্পর্কে তিনি এই জনপ্রিয় গায়কের গ্রামতুতো বোন হন। তবে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সোনামণি কিন্তু শিলাজিতের সবথেকে বড় ভক্ত নন। তবে? প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এককথায় 'বুম্বাদা'-ই তাঁর 'অল টাইম ফেভারিট'।
টলি-নায়কের অন্ধ ভক্ত সোনামণি বহুবার তাঁর 'দাদা'কে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যদি বুম্বাদার সঙ্গে কোনওভাবে তিনি একটু মোলাকাত করতে পারেন। যদি কোনও উপায়ে টলি-তারকাকে এই গড়গড়ি গ্রামে আনা যায়। তিনি স্রেফ একটিবার প্রসেনজিতকে ছুঁয়ে দেখবেন। শেষমেশ উপায় না দেখে নিজের ফেসবুক পেজে সোনামণিকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শিল্পী। তাঁর 'বোন' এর এইবারটা যেন টলি-সুপারস্টারের কানে পৌঁছয়, এই লক্ষ্যে।
শিলাজিতের পোস্ট করা সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় কথায় জড়তা থাকার সত্বেও প্রসেনজিৎ-কে বারংবার তাঁদের গড়গড়ি গ্রামের আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন। শিল্পী শিলাজিতের মুখে বুম্বাদাকে মারার কথা শুনেও রেগে অগ্নিশর্মা হতেও দেখা গেল তাঁকে। নেটপাড়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো নিমিষে পৌঁছেছে প্রসেনজিতের কাছেও। আর সবাইকে অবাক করে তিনি নিজে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন সোনামণির উদ্দেশে।
সোনামণির আবদার রাখবেন তিনি। কথা দিয়েছেন খোদ টলিউডের 'ইন্ডাস্ট্রি'। কথা দিয়েছেন অতিমারি কমলেই তিনি এক দিন যাবেন শিলাজিতের গ্রামে। সোনামণির সঙ্গে দেখাও করবেন। কিছুটা সময় কাটাবেন তাঁর সঙ্গে।সত্যিই করবেন। সোনামনির বার্তা ও আমন্ত্রণ পেয়ে যে তিনি আপ্লুত সেকথাও বিন্দুমাত্র লুকোননি প্রসেনজিৎ। কোনওরকম দ্বিধা না করে নিজের বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন বাংলার মানুষ এ ভাবে ভালবাসেন বলেই তিনি কাজ করে যেতে পারছেন।
এ তো গেল ভিডিয়ো বার্তার কথা। সোনামণির সঙ্গে ঠিক কবে তিনি নিজে সরাসরি ভিডিয়ো করে কথা বলবেন? আনন্দবাজারকে এ প্রসঙ্গে শিলাজিৎ জানিয়েছেন যে এদিন অর্থাৎ সোমবারই নাকি তাঁর সেই ভিডিয়ো কল করার কথা। এরপর করোনা আবহ কেটে গেলে সত্যিই তিনি বীরভূমের গড়গড়িতে আসবেন।