পুজোর ঠিক মুখেই মুক্তি পায় দশম অবতার। বক্স অফিসে টক্কর জমেছিল আরও তিনটি ছবির সঙ্গে। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে মাত্র বারো দিনেই সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি ব্যবসা করে ফেলে এই ছবি। দর্শকদের চর্চাতেও থাকছে প্রবীর রায়চৌধুরীর প্রসঙ্গ। নিজের চরিত্র থেকে ছবির ব্যবসা সবটা নিয়েই নিজের মতামত জানালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
দশম অবতারের ব্যবসা নিয়ে কী বললেন প্রসেনজিৎ?
সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'দশম অবতার যে ভালো ব্যবসা করবে সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম কারণ এই টিমটা সলিড ছিল। বাঙালি সৃজিত, অনুপম, রূপম, আইডি (ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত), সৌমিক হালদারের এই টিমটা পছন্দ করে। সঙ্গে আছে জয়া, অনির্বাণ, যিশু। বিশেষ করে যিশু আর অনির্বাণের সঙ্গে সৃজিতের জুটি দারুণ জমে। অন্যদিকে সৃজিত আর অনুপমের শুরু তো আমার সঙ্গেই হয়েছিল।' তিনি তাঁর চরিত্রর প্রসঙ্গ আরও বলেন, 'এই ছবিটা মাসের জন্য। শিক্ষিত দর্শকদের জন্য যেমন এই ছবি, তেমনই আমার যিনি ড্রাইভার তিনিও কিন্তু সমান উত্তেজিত ছিলেন এই ছবিটি নিয়ে। আসলে আমার চরিত্রের যে রেলাবাজি সেটা সবার ভালো লেগেছে। এক সিবিআই অফিসার পর্যন্ত ফোন করে জানিয়েছেন চরিত্রটা তাঁর ভালো লেগেছ।'
আরও পড়ুন: 'এই একটা জিনিসই...' প্রাক্তন মনোজিতের কোন জিনিস আজও ভালোবাসেন বৈশাখী?
আরও পড়ুন: হৃদয় ভাঙার জন্য তারকা থেকে সুপারস্টার হয়েছেন মিঠুন, সারেগামাপায় বললেন, 'সবার জীবনেই এমন...'
কেবল তো প্রবীর রায়চৌধুরী নয়, চর্চা হচ্ছে প্রবীর-পোদ্দার জুটি নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেন, 'আমি তো ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। ওকে শ্রদ্ধাও করি। আমাদের এই জুটি বিজেস্ট জুটি। কাজের মধ্যে দিয়ে ওকে চিনেছি।'
কিন্তু বারো বছর মুক্তি পেল বাইশে শ্রাবণের প্রিকুয়েল। কতটা টেনশন ছিল ছবিটা নিয়ে? উত্তরে বুম্বাদা জানান, 'টেনশন অবশ্যই ছিল কারণ এটা একটা বড় ব্র্যান্ড। আজকাল ছবি করার পরই চরিত্রগুলো হারিয়ে যায়। কিন্তু ছবি মুক্তি পাওয়ার পর পনের কুড়ি বছর খুব কম চরিত্র দর্শকদের মনে থেকে যায়। আমি আর সৃজিত তেমনই এক চরিত্র তৈরি করেছিলাম। যদিও সৃজিতের কৃতিত্ব এখানে বেশি। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল এই প্রজন্মের কাছে কী করে ছবিটি প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায় সেটা চেষ্টা করা।'