আর কিছুদিনের অপেক্ষা তারপরই মুক্তি পেতে চলেছে রাধিকা আপ্তের নতুন ছবি মিসেস আন্ডারকভার। আর সেই ছবির প্রচার গিয়েই একটি সাক্ষাৎকার দিলেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি পুরুষদের সুবিধা, স্বাধীনতা থেকে বিশ্বজুড়ে মহিলাদের আত্মত্যাগকে যে বড় করে দেখানো হয় সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। জানান নিজের মতামত। কিন্তু তিনি এই সাক্ষাৎকারে কী বলেছেন সেটার থেকেও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে তিনি কোন টোনে, কীভাবে কথাগুলো উচ্চারণ করলেন সেটা। কেউ কেউ তাঁর এই অ্যাকসেন্টের প্রশংসা করেছেন, তো কেউ আবার বিরক্তবোধ করেছেন। কারও মতে এসব তুচ্ছ বিষয়ের থেকে অনেক বেশি জরুরি হল তিনি কী বললেন বা বলতে চাইলেন সেটা।
টুইটারে এক ব্যক্তি তাঁর এই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, 'গোটা ভিডিয়োটা দেখিনি, ওঁর এই ফেক অ্যাকসেন্ট শুনেই বন্ধ করে দিয়েছি। এই সব মানুষরা কেন এরকম মেকি অ্যাকসেন্টে কথা বলেন?' কী বলেছিলেন অভিনেত্রী তাঁর ভিডিয়োতে?
অভিনেত্রীর কথায়, 'আমি জানি আমার জানে কীভাবে রান্না করতে হয়। উনি পেশায় অ্যানাসস্থেসিস্ট। একটি হাসপাতালের সিইও ছিলেন তিনি। আমার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন সেখানকার। তিনি একজন নিউরোসার্জেন। কিন্তু তিনি জানেন না কী করে রান্না করতে হয়। কিন্তু আমার মা সব পারে। বাবা নয়।' তিনি আরও বলেন যে লিঙ্গ ভিত্তিতে ধরে নেওয়া হয় মহিলারাই বাড়ির সব কাজ করবেন।
মাত্র কদিন আগে শেয়ার করা হলেও ইতিমধ্যেই এই ভিডিয়োর ভিউজ ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। নেট নাগরিকদের অনেকেই এই ভিডিয়োতে নিজেদের নানা মন্তব্য জানিয়েছেন।
এক ব্যক্তি লেখেন, 'উনি যেভাবে Both শব্দটি বললেন তাতেই আমি আটকে গেলাম।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'উনি অধিকাংশ সময় ভারতের বাইরে থাকেন। এক বিদেশিকে বিয়ে করেছেন। তাই হয়তো ওঁর উচ্চারণ ওরকম।' অন্য এক নেট নাগরিক লেখেন, 'টিপিক্যাল অ্যাংলো ইন্ডিয়ান উচ্চারণ।'
অনেকেই আবার তাঁর মা বাবাকে দেওয়া উদাহরণ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ তিনি তাঁর মা বাবার মাধ্যমে একটি নেতিবাচক উদাহরণ দিলেন। তবে কেউ কেউ আবার তাঁকে সমর্থন করেছেন। জানিয়েছেন যে শিশুরা তাঁদের মাকে অফিসে কাজ করতে দেখেছেন তাঁরা তাঁদের ঘর বাইরে দুটোই সামলাতে দেখেছেন। হাউজওয়াইফ হলে এক রকম। কিন্তু ওয়ার্কিং মাদার হলে দুটোই করতে হয়।