ফাঁসির দড়ি গলায় পরার আগে ঠিক কী কী ভাবনা আঁচড় কাটে অপরাধীর মনে? মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত কোন কোন নিয়মই বা মেনে চলতে হয়? যে ব্যক্তি ১২ বছর ধরে হাজতবাস করেছেন, তাঁকে ফাঁসি দেওয়া কি খুনের সমান নয়?
এমনই অনেক প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্ত। উত্তর দিয়েছেন নিজেই। তাঁর নতুন ছবির মাধ্যমে। নাম 'মৃত্যুপথযাত্রী'। এখানে মৃত্যুর পথের যাত্রী এক আসামী। আদালতের রায় মেনে ফাঁসি দেওয়া হবে যাকে। তার জীবনের নানা দিককে এক সূত্রে বেঁধেছেন পরিচালক। বুনেছেন ছবির গল্প।
ছবিতে আসামীর চরিত্রে দেখা যাবে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগাগোড়াই নিজেকে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালোবাসেন অভিনেতা। এ বারও অন্যথা হয়নি। শ্যুট শুরুর আগে নিয়েছেন বিস্তর প্রস্তুতি। বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝে নিতে গিয়েছেন সংশোধনাগারে। করেছেন একাধিক ওয়ার্কশপ। চরিত্রের সঙ্গে একাত্মবোধ করতে দীর্ঘ দিন নিজেকে ঘরে বন্দি রেখেছিলেন রাহুল। জানা গিয়েছে, ছবির ডাবিংয়ের সময়ে তাঁর গলা থেকে রক্তক্ষরণ হয়। সেই সমস্যা সামলেই ছবির কাজ শেষ করেন তিনি।
পরিচালকের দাবি, এ ধরণের বিষয় নিয়ে অতীতে বিশেষ কাজ করা হয়নি। তাই কোনও ছবির সঙ্গেই তুলনা করা যাবে না 'মৃত্যুপথযাত্রী'র। তাঁর কথায়, "ছবির প্রতি দৃশ্যে ফুটে উঠবে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সেই আসামীর মনস্তাত্বিক পরিবর্তন। চাক্ষুষ করা যাবে তার বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছে আর মৃত্যু নিয়ে চরম ভয়।"
১০ জুন অর্থাৎ শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে আস্তে চলেছে 'মৃত্যুপথযাত্রী'। কেএসএস প্রোডাকশনস এবং এন্টারটেইমেন্টের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ছবিটি।