এই প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলেছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেবলীনা দত্ত। তাঁদের জুটির এই ছবিটির নাম নেগেটিভ। কিন্তু নামেই কেন এত নেতিবাচকতা? না না, এই নেগেটিভ, সেই নেগেটিভ নয়। বরং এটি ছবির নেগেটিভ। কিন্তু সেটাই কেন ছবির নাম? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রাহুল এবং দেবলীনার নতুন ছবি নেগেটিভ
বাপ্পা পরিচালিত এই ছবিটিতে উঠে আসবে বিশ্বকর্মা এবং তার স্ত্রী মালার কথা। বিশ্বকর্মা পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। কিন্তু তাঁর ছবি তোলার ধরন, ভাবনাকে কেউ বুঝতেই চায় না। ফলে কাজ জোটে না তাঁর। জোটে কেবল মৃত মানুষের ছবি তোলার বায়না। অন্যদিকে তার স্ত্রী মালার প্রবল টানাটানির মধ্যেও কোথাও একটা তার স্বামীর প্রতি একধরণের সম্মান মেশানো মমত্ববোধ কাজ করে। কিন্তু বিশ্বকর্মা নিজের মনোজগতে ক্রমশঃ একা হতে শুরু করে। গল্পের পটপরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে একটা সময়ে, মালা আর বিশ্বকর্মা এসে পৌঁছয় এমন একটা জায়গায় যেখানে দুজনকেই দুটি চূড়ান্ত অনভিপ্রেত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কি সেই সিদ্ধান্ত? কি হয় তাদের পরিণতি? একজন শিল্পী কি এই সময় দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের শিল্পবোধ নিয়ে টিকে থাকতে পারেন? সেটা নিয়েই নেগেটিভ ছবির গল্প।
আরও পড়ুন: 'লালমোহন বাবুকে বলে দে...' শুরু ভূস্বর্গ ভয়ঙ্করের প্রস্তুতি, আপডেট দিয়ে কী জানালেন টোটা?
আরও পড়ুন: তৃতীয়বার ছাদনাতলায় গেলেও ফাঁক নেই আয়োজনে! প্রকাশ্যে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রাজকীয় বিয়ের কার্ড
এই ছবিতে বিশ্বকর্মার চরিত্রে দেখা যাবে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে মালার চরিত্রে থাকবেন দেবলীনা দত্ত। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় আছেন শ্রীলেখা মিত্র, রানা বসু ঠাকুর, প্রমুখ।
নেগেটিভ নিয়ে কী বললেন রাহুল দেবলীনা?
এই ছবির বিষয়ে রাহুল বলেন, 'নেগেটিভ ছবিটা আমার তো নিজের করে খুব ভালো লেগেছে, তার একটা কারণ হচ্ছে এর অনেকগুলো স্পেস আছে, আর গল্পটা লিনিয়ার স্ট্রাক্চার ফলো করলেও কখনও কখনও নন লিনিয়ার হয়ে উঠেছে, আবার কখনও থট স্পেসে চলে গেছে। আর সেই স্পেসগুলোতে অভিনয় করা অভিনেতা হিসেবে খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, এবং এই ছবিতে আরও একটি ইন্টারেস্টিং জিনিস হচ্ছে পিতা-পুত্র দুটি চরিত্রেই আমি অভিনয় করেছি, সেটা মজা লেগেছে করতে।'
অন্যদিকে দেবলীনার মতে, 'নেগেটিভের স্ক্রিপ্ট শোনা মাত্রই আমাকে আকর্ষিত করেছিল। যখন পরিচালক বাপ্পা গল্পটা শোনায় তখনই আমি প্রজেক্টটা করতে রাজি হই। এই গল্পে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিশ্বকর্মার সঙ্গে মালার চরিত্রের কেমিস্ট্রি। শ্যুটিং ফ্লোরে খুবই ভালো পরিবেশ ও সহঅভিনেতা পেয়েছি, ফলে আমার কাজ করতে দারুণ সুবিধা হয়েছে। এই গল্প সত্যিই বিরল, আশা করব, দর্শকের মন ছুয়ে যাবে।'