ডাগর চোখ, একদৃষ্টে ক্যামেরার দিকে চেয়ে রয়েছে ছোট্ট রাহা! বড়দিনে রণবীর-আলিয়া ভক্তদের জন্য বড় খবর। যিশুর জন্মদিনে মেয়ে রাহাকে প্রকাশ্যে আনলেন ‘রালিয়া’। এতদিন পাপারাৎজিদের বারণ করেছিলেন রাহার ছবি তুলতে, সেই নিষেধাজ্ঞা এদিন তুলে দিলেন তারকা দম্পতি।
ক্রিসমাস মানেই কাপুর খানদানের জমাটি লাঞ্চ। বাবার কোলে চড়ে সেই লাঞ্চ পার্টিতে এসেছিল ছোট্ট রাহা। সাদা-গোলাপি ফ্রকে দেখা মিলল কাপুর পরিবারের এই খুদে সদস্যার। চোখ টানল তাঁর পায়ের লাল ভেলভেট জুতো। কালোর উপর লাল ফুলেল প্রিন্টের ওয়ানপিসে পাওয়া গেল রাহার মা-কে। আর রণবীরের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট, একই রঙের ডেনিম জ্যাকেট আর জিনস।
রাহার উপর থেকে চোখ সরছে না নেটিজেনদের। বাবা না মা— কার মতো দেখতে হয়েছে রণবীর কন্যাকে? অধিকাংশেরই মত রণবীরের প্রয়াত বাবা ঋষি কাপুরের প্রতিচ্ছবি নাতনি। রাহার বড়বড় চোখ আর মিষ্টি হাসিতে মুগ্ধ সকলে। একজন লেখেন, ‘পুরো ঠাকুর্দার মুখ বসানো, ঋষি স্যারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে’। অপর এক আলিয়া ভক্ত লেখেন,'পুরো পুতুল তো! কী মিষ্টি লাগছে খুদে আলিয়াকে'।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ে নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টেই বিয়ের পর্ব সারেন রণবীর-আলিয়া। পরিণতি পায় তাঁদের পাঁচ বছরের প্রেম সম্পর্ক। বিয়ের দেড় মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানান অভিনেত্রী। ৬ই নভেম্বর আলিয়ার কোল আলো করে আসে রাহা। গত মাসেই এক বছর পূর্ণ করেছে রাহা। এক বছর এক মাস বয়স হতেই মেয়েকে দুনিয়ার সামনে আনলেন তারকা দম্পতি।
নভেম্বর মাসের গোড়ায় হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এসে রাহাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন আলিয়া। সেখানে মেয়ের মুখ দেখানো নিয়ে অভিনেত্রীর জবাব ছিল, তিনি বা রণবীর কেউই তাঁদের সন্তানকে নিয়ে লজ্জিত নন। বরং গর্বিত মা-বাবা তাঁরা। কোনওদিন কাউকে আটকাননি রাহাকে দেখতে। শুধু চাননি, ওই টুকু একটা ছোট্ট মেয়ের মুখ ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘুরতে থাকুক, বা আলোচনার কারণ হোক। বা সবসময় পাপারাজ্জিরা পড়ে থাকুক রাহার পিছনে। সঙ্গে নিশ্চিত করেছিলেন, সঠিক সময়েই তাঁরা রাহা-র চেহারা প্রকাশ্যে আনবেন।
সম্প্রতি কফি উইথ করণের মঞ্চে এসেও রাহাকে নিয়ে কথা বলেন আলিয়া। জানান, রণবীরের সঙ্গে আজকাল প্রায়শই তাঁর ঝামেলা বেঁধে যাচ্ছে রাহাকে নিয়ে। কে রাহার সঙ্গে বেশি সময় কাটাচ্ছে, সেই নিয়ে মান-অভিমানের পর্ব চলে স্বামী-স্ত্রীর! আলিয়া প্রায়শই অভিযোগ করেন, ‘তুমি ওর সঙ্গ অনেক সময় কাটিয়েছো, এবার একটু আমাকে দাও’। এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন অভিজ্ঞ করিনা। দুই সন্তানের জননী তিনি। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘এটা তো আসলে একটা সংকেত। আরেকটা সন্তান নিয়ে নাও, তাহলে দুজনেই একজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবে’।