দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সুযোগ এসেছিল রানির। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে গর্ভপাত হয়ে যায় তাঁর। সম্প্রতি রানি মুখোপাধ্যায় তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার বিষয়ে মুখ খুললেন।
মেলবোর্নে ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৩ চলছে। সেখানে ১০ অগস্ট, বৃহস্পতিবার মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রানি। এই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান ২০২০ সালে তিনি গর্ভবতী ছিলেন। দ্বিতীয় বার মা হতে চলেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি যখন পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা তখনই তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায়। আর এই গোটা ঘটনাটাই ঘটেছিল ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির শুটিং শুরুর আগে। কিন্তু তখন তিনি এই ঘটনা কাউকে জানাননি। অভিনেত্রী ভেবেছিলেন তখন যদি তিনি তাঁর জীবনের এই কঠিন সময়ের কথা বলেন অনেকেই ভাববেন যে এটা স্রেফ একটা প্রমোশনের খেলা। তাই চুপ ছিলেন রানি।
বিজনেস টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'হয়তো এটাই প্রথমবার যখন আমি বিষয়ে পাবলিকলি কথা বলছি। কারণ আজকাল আমরা যাই করি না বলি না কেন সকলেই ভাবেন সেটা আমরা ছবির প্রচারের স্বার্থে বলছি বা করছি। আমি তাই ইচ্ছে করেই আমার ছবি প্রচারের সময় এই কথা বলিনি। কিন্তু এটা ২০২০ সালের ঘটনা যখন চারদিকে মহামারীর প্রকোপ চলছে। ২০২০ সালের শেষদিকে আমি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পাঁচ মাসের মাথায় আমি আমার সন্তানকে হারাই।'
আরও পড়ুন: মঞ্চে মুখোমুখি পর্দা এবং বাস্তবের 'মিসেস চ্যাটার্জি', সাগরিকাকে দেখে কেঁদে ফেললেন রানি
এরপর তিনি বলেন, ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির অন্যতম প্রযোজক নিখিল আডবানি তাঁকে তাঁর সন্তানের মৃত্যুর ১০ দিন পর ফোন করে এই ছবির কথা বলেন। অভিনেত্রী সেই কথা মনে করে বলেন, 'আমি আমার সন্তানকে হারানোর পরই নিখিল আমায় ফোন করে গল্পটা বলে। আর কিছু সময় এমন আসে, আপনি ব্যক্তিগত জীবনে সেই একই ফেজের মধ্যে দিয়ে, একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে হয়তো যাচ্ছে তখন তেমন কোনও গল্প পেলে এমনই চট করে সেটার সঙ্গে একটা কানেকশন তৈরি হয়ে যায়। আর তাছাড়া আমি কখনই ভাবিনি যে নরওয়ের মতো দেশে একটি ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে এমন কিছু হতে পারে।'
তবে রানি এও জানান যে প্রযোজক নিখিল বা পরিচালক অসীমা ছিব্বার কেউই তাঁর এই মিসক্যারেজের কথা জানতেন না। প্রসঙ্গত রানির বড় মেয়ে আদিরা ২০১৫ সালে জন্মেছে।