রশ্মিকা মন্দানার ভুয়ো ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড়া সোশ্যাল মিডিয়া। ঘটনায় দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিশ পাঠানোর পরই এফআইআর জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো জনিত মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছে তাঁরা এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেগুলি যাচাই করছে।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েয়েছেন, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের অংশ হিসাবে, আধিকারিকরা সমস্ত আইপি ঠিকানাগুলি শনাক্ত করেছেন যেখান থেকে ভিডিয়োটি আপলোড করা হয়েছিল এবং যেখানে ভিডিয়োটি প্রথম ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছিল সেই ঠিকানাটি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: 'X-এ আমার অ্য়াকাউন্ট নেই', ছদ্মবেশ এবং ডিপফেক নিয়ে মুখ খুললেন সচিন কন্যা সারা
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (IFSO, স্পেশাল সেল) হেমন্ত তিওয়ারি বলেছেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পেয়েছেন এবং অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিস পাঠানোর পর এফআইআর জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় জারি করা হয়েছে অভিযোগ। অভিনেত্রীর ওই ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো নেটদুনিয়ার পাতায় ছড়িয়ে পড়ার পর কড়া আইনি পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগী থেকে বিনোদন জগতে তাঁর সহকর্মীরাও।
আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ডিপফেকগুলিকে গণতন্ত্রের জন্য একটি নতুন হুমকি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, সরকার ডিপফেকগুলি মোকাবেলায় শীঘ্রই নতুন নিয়মবিধি নিয়ে আসবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলি শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, রিপোর্টিং প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ এবং ব্যবহারকারীর সচেতনতা বাড়ানোর মতো ক্ষেত্রগুলিতে পদক্ষেপযোগ্য কাজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
প্রাথমিক ভিডিয়োটি মূলত ৮ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছিল, যেখানে জারা প্যাটেল নামে একজন মহিলাকে দেখা গিয়েছে। AI-এর সাহায্য নিয়ে তাঁর মুখকে ডিজিট্যালি বদলে রশ্মিকার মুখ ব্যবহার করা হয়েছে। কে এই জাল ভিডিয়োটি তৈরি করেছে এবং তাঁদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তা এখনও জানা যায়নি।