শীত পড়লেই কলকাতার মানুষ ছুটে বেড়ায় উত্তর থেকে দক্ষিণে। চিড়িয়াখানা, নিক্কো পার্ক বছরে একবার যে না গেলেই নয়। আর এই ট্যুরগুলো হয়ে থাকে পরিবার নিয়ে। সঙ্গে থাকে কচিকাঁচারা। তবে এবার নিকোপার্কে গিয়ে চূড়ান্ত ‘অব্যবস্থার’ মুখে পড়তে হল আরজে সোমককে। রবিবার এই নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।
রবিবার ছুটির দিনে ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে তাঁকে নাজেহাল হতে হয় বলেই জানান সোমক। প্রথমে একটি পোস্ট আসে ফেসবুকে। তিনি লখেন, ‘নিক্কো পার্ক জঘন্য হয়ে গিয়েছে। অব্যবস্থাপনা এবং স্বচ্ছতার অভাব স্পষ্ট। আমাদের ছোটবেলার গন্তব্য নিসন্দেহে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে। এরপর বাচ্চাদের অন্য কোথাও নিয়ে যাব। লজ্জা হওয়া উচিত নিকোপার্ক, মা-বাবাদের এভাবে হেনস্থা করার জন্য।’
আরও পড়ুন: ‘মমতাকে নিয়ে সিনেমা…’, লোকসভা ভোটের আগে সৃজিত মুখার্জীর মুখে নতুন ছবির কথা?
এখানেই থেমে থাকেননি সোমক। বরং একটি ভিডিয়োও বানান নিজের বক্তব্যের, যা তিনি শ্যুট করেন নিকোপার্কের ভিতরে থেকেই। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যাদের ছোট ছোট বাচ্চা আছে আর নিক্কো পার্ক আসার কথা ভাবছেন, তাঁরা দশবার ভাববেন। এখানে যা দেখছি। আমার ৩ বছরের বাচ্চা আছে। যে বাড়ির ভাত, ডাল, মাছ, মাংস ছাড়া কিছুই খায় না। বলছে আউটসাইড ফুড অ্যালাউ নয়। এবার বাইরের খাবার কোনটা। রেস্তোরাঁ বা দোকান থেকে কেনা বলেই জানতাম। ঘরে তৈরি খাবার কীভাবে বাইরের খাবার হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ১০০ কোটি আয়! ‘দাদা বউদি বিরিয়ানি’ দোকানের রোজগার শুনে দাদাগিরিতে চোখ কপালে সৌরভের
কমেন্টেও অনেকেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নিক্কো পার্কের নিয়ে। জানিয়েছেন তাঁরাও হেনস্থার শিকার হয়েছেন নিক্কো পার্কে গিয়ে। এমনকী, কেউ কেউ দাবি করেছেন, পার্কে থাকা রাইডগুলির দেখভালও ঠিক করে হয় না। যে কোনও সময় ফের একটা বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই কমেন্টগুলির সঙ্গে সোমককে সহমত পোষণ করতেও দেখা গেল।
আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো নথি দেখিয়ে শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো বানিয়েছে ইউটিউবার’: সিবিআই
তবে সোমকের এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছে নিক্কো পার্কের এমডি-সিইও রাজেশ রাইসিংহানির। এইসময়কে তিনি জানান, ‘কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এই রকম একটা ম্যাসেজ পেয়ে খুব দুঃখ পেয়েছি। আমরা যটা সম্ভব চেষ্টা করি গোটাটাকে সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করার। তাও উনি একথা বললেন। ছোট বাচ্চাদের খাবার আছে বললে আমরা শুধু খাবারটা দেখতে চাই। কারণ অনেকেই বাচ্চাদের খাবার বলে, নিজেদের খাবার নিয়ে ভিতরে যান। আমার এত বছরের কেরিয়ারে প্রথম কেউ এমন অভিযোগ করল। আমাদের যেহেতু খাবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই, তাই ভিতরে বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও নেই। তাই আমরা বাইরে এসে খাওয়ার কথা বলি। এমনিতেএকবার বেরিয়ে গেলে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কিন্তু কেউ বাচ্চাকে খাবার খেতে বের হলে, তাঁরা ফের ঢুকতে পারে।’