এবার মহালয়া থেকেই কলকাতায় পুজোর আমেজ। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে বেশিরভাগ পুজোর। প্রতিপদ থেকেই লেগে গিয়েছে ঠাকুর দেখার লম্বা লাইন। স্কুল-কলেজ-অফিসে ছুটি না পড়লেও, রাত থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে পড়ে যাচ্ছে লম্বা লাইন। সঙ্গে ষষ্ঠী থেকে দশমীর পরিকল্পনাও চলছে জোর কদমে।
টলিউডের তারকারা এমনিতেই খুব ব্যস্ত থাকেন কাজ নিয়ে। ডেইলি সোপের চাপে পরিবার-বন্ধুদের সময় দেওয়াও হয়ে ওঠে না। তবে পুজোর চারটে দিন একদম আলাদা। কেমন করে কাটাবেন টলিউডের জনপ্রিয় জুটি শ্বেতা আর রুবেল?
যমুনা ঢাকি-তে কাজের সময় প্রথম আলাপ হয় শ্বেতা আর রুবেলের। অনস্ক্রিন রোম্যান্স জলদিই চলে আসে অফস্ক্রিনে। রুবেল আর শ্বেতাকে একে-অপরের জন্য পছন্দ করেছে দুই পরিবারও। শোনা যাচ্ছে খুব জলদিই বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে।
পুজোর পরিকল্পনা নিয়ে রুবেল জানালেন, শ্বেতা আর তিনি প্যান্ডেল হপিং করতে ভালোবাসেন। লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা পছন্দ তাঁদের। এছাড়াও রেস্তোরাঁ যাওয়া হবে দুই পরিবারকে নিয়ে। সঙ্গে সবার সঙ্গে বসে আড্ডা দেওয়া। এভাবেই পুজো কাটানোর কথা ভেবে রেখেছেন।
বিয়ে প্রসঙ্গে এর আগে রুবেল জানিয়েছিলেন, পরের বছর বিয়ের সম্ভাবনা কম। তবে ২০২৫ সালে বিয়ে করে নেওয়ার প্রাথমিক একথা কথা হয়েছে। তবে কোনও দিন বা মাস এখনও ঠিক হয়নি।
মাসখানেক আগে পা ভেঙে যায় রুবেলের নিম ফুলের মধু-র শ্যুটিং করার সময়তেই। সেই সময় প্রেমিকার খেয়াল রেখেছিলেন শ্বেতা। বেডরেস্টে থাকা রুবেল যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে সেদিকটাতেও খেয়াল রেখেছিলেন খুব। যা নিয়ে পরে রুবেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক কাছের মানুষকেও অনেকে এরকম সময় পায় না কাছে। যেভাবে এই সময়টায় ও আমার পাশে ছিল। এক মুহূর্ত আমার মনে হয়নি এটা আমার হয়েছে। মনে হত আমার সঙ্গে ওরও হয়েছে। যেভাবে প্রত্যেকটা সময় আমার খেয়াল রেখেছে। শ্যুটিংয়ের পর রোজ আসত বাড়িতে। যাতে আমি একা বোধ না করি। ডিপ্রেশনে না ভুগি। আমার পরিবার এই সময় যেভাবে আমার জন্য করেছে, শ্বেতা ঠিক ততটাই করেছে।’
রুবেলকে এখন নিম ফুলের মধু-তে দেখা গেলেও, সদ্য শেষ হয়েছে শ্বেতার ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। এরপর দুটো ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। যার মধ্যে একটি আসবে আড্ডা টাইমসে। এই সিরিজে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। আরেকটি সিরিজে শ্বেতার থাকার কথা রয়েছে মুখ্য চরিত্রে, ‘ফ্রাইডে’ নামক একটি নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আসবে সেই সিরিজ।