তাঁর জীবনের সবটা জুড়ে ছিল মা। মায়ের আদর, স্নেহ, যত্ন আর বকা খেয়েই কেটেছে সায়নীর জীবনের ৩০টা বছর। এক লহমায় মায়ের না থাকাটা মেনে নিতে পারছেন না সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। মায়ের চিরবিদায় কোনও সন্তানের মনই তো মানতে চায় না! কিন্তু কালের কঠিন নিয়মের সামনে হার মানতে হয় সকলকই। আরও পড়ুন-মাতৃহারা অভিনেত্রী সায়নী, শোকে ভেঙে পড়েছেন তৃণমূল যুব সভানেত্রী
এই অবুঝ অবাধ্যতায় সায়নীর একমাত্র সঙ্গী মায়ের সঙ্গে কাটানো রঙিন স্মৃতি। মায়ের মৃত্যুর পর সায়নীর প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেই আকুলতায় ধরা পড়ল। রবীন্দ্রনাথের লেখা গানের কথাতেই সদ্য় হারানো মাকে খুঁজেছেন সায়নী। এক সন্ধ্যার স্মৃতি আগলে ‘গোধূলিগগনে মেঘে’ গানটির শেষ দু-লাইন মনে পড়েছে সায়নীর মনে।
ছবিতে দেখা গেল মায়ের (সুদীপা ঘোষ) কোলে মাথা রেখে শান্তিতে শুয়ে রয়েছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী। সায়নীর পরনে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, নায়িকার মা পরে আছেন ঘরোয়া পোশাক। বুঝতে অসুবিধা হওয়ার নয়, সারাদিন বাইরে খেটেখুটে ক্লান্ত মেয়ে। ক্লান্ত মেয়ের কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন সায়নীর মা,অপলক দৃষ্টিতে মেয়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে সায়নী লিখেছেন, ‘আর কি কখনো কবে, এমন সন্ধ্যা হবে? জনমের মতো হায়, হয়ে গেল হারা…. ভাল থেকো মাগো!!’ এই কঠিন সময়ে সায়নীকে মন শক্ত রাখার বার্তাই দিয়েছেন নেটিজেনরা। মা-মেয়ের এই ছবি দেখে চোখের কোণে জল সকলের।
সোমবার প্রয়াত হন সায়নীর মা। বেশকিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সুদীপা দেবী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রবিবার আচমকাই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়, ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সোমবার বিকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুদীপা দেবী। মাতৃবিয়োগে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হয়েছিল সায়নীর মায়র। শেষপর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন সুদীপা ঘোষ। মায়ের অসুস্থতার কথা প্রকাশ্যে কখনওই জানাননি সায়নী। গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেন সায়নী। তারপর থেকেই শাসক দলের অন্যতম মুখ তিনি। সামনেই লোকসভা ভোট। সায়নীর কাঁধে রয়েছে একাধিক দায়িত্ব। গত শুক্রবারেও হাওড়ায় দলীয় কাজে হাজির ছিলেন যুবনেত্রী। তবে শনিবার থেকে সেভাবে প্রচারের আলোয় আসেননি। সোমবার সন্ধ্যায় মেলে তাঁর মাতৃবিয়োগের খবর।