বলিউডের দুই খান মানে শাহরুখ আর সলমন বরাবরই থাকেন চর্চায়। মাঝে তো বেশ কিছুদিন তাঁদের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। এখন অবশ্য আবার সবটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। খুব জলদি তো দুজন দুজনের সিনেমায় কেমিও করতে চলেছেন। তবে মাঝে যখন একে-অপরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন তখন সলমনের বাবা লেখক সেলিম খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই দুই ‘শত্রু’র মধ্যে আবার ‘ভালোবাসা’ হওয়া অসম্ভব।
১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে ডেবিউ হয় সলমনের। আর ওই বছরেই ‘ফৌজি’ দিয়ে টিভিতে নাম করতে শুরু করেন শাহরুখ। সেই বছরই ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া দিয়ে সাফল্য ঝুলিতে আসে সলমনের। আর শাহরুখ যখন ১৯৯২ সালে দিওয়ানা দিয়ে বলিউডে অভিষেক করেন তখন নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন সলমন। একদম শুরুর দিকে, ৯০ থেকে ২০০০-এর মধ্যে একের পর এক হিট দিয়েছেন তাঁরা। তবে সেইসময় সম্পর্কও ছিল মধুর।
২০১৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে সেলিমকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ওরা দুজনেই আলাদা মানুষ… যথেষ্ট বুদ্ধিমান। আর আমার মনে হয় না শত্রুদের মধ্যে কখনও ভালোবাসা হতে পারে। দুজনের মধ্যে কৃতজ্ঞতা আসতে পারে। তবে শাহরুখ আর সলমনের মধ্যে ভালোবাসা হওয়া অসম্ভব। কেউ এটা অন্তত আশা করতে পারেন না শাহরুখের কোনও সিনেমা হিট হল মানে সলমন নেচে নেচে আনন্দ করবে। বা সলমন হিট দিলে শাহরুখ পার্টি দেবে… এটা সম্ভব না।’
নিজের এই সাক্ষাৎকারে বর্তমান সময়ের অভিনেতাদের খানিক সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, ‘আজকালকার ছেলেমেয়ারা অসহিষ্ণু, অধৈর্য... ছোট ছোট জিনিস মানুষকে কষ্ট দেয়, আরও সমস্যা তৈরি করতে অন্য মানুষ আছে। তবে জীবনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সৌজন্যবোধ থাকাটা কিন্তু খুব দরকার।’
২০২৩ সালে সলমন খানের টাইগার থ্রি-তে কেমিও করবেন শাহরুখ, আর অন্যদিকে শাহরুখ খানের পাঠানে কেমিও করবেন সলমন। তাই উৎসাহ চরমে দুই খানের ভক্তদেরই।