সোমবার মুম্বইয়ের কালিনা এয়ারপোর্টে পুলিশি নিরাপত্তায় দেখা মিলল সলমন খানের। রবিবারই সলমন খান আর তাঁর বাবা সেলিম খান হুমকি চিঠি পান। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া ভিডিয়োতে দেখা মিলেছে এয়ারপোর্টে সলমনের গাড়ি ঢুকতেই সেখান থেকে প্রথমে নেমে আসেন এক পুলিশ অফিসার। তারপর সলমনকে গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ছিলেন সলমন খানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী শেরাও।
সলমন খান কালো টি-শার্টের উপর নীল চেকড শার্ট পরে আছেন। সঙ্গে ডেনিম প্যান্ট। করোনার নতুন নিয়ম মেনে মুখে মাস্কও পরেছিলেন তিনি। এরপর পাপারাৎজিদের দেখে হাত নাড়েন ভাইজান। জানা যাচ্ছে ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে হায়দরাবাদে গিয়েছেন সলমন নিজের নতুন ছবির কাজের জন্য।
সোমবার খান পরিবারের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টও ঘুরে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর পর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি না মহারাষ্ট্র সরকার। মুম্বই পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘এই চিঠি ভুয়ো কি না, তা এত জলদি বলা সম্ভব নয়। লরেন্স বিষ্ণোয়ি গ্যাং নিয়ে কিছু বলাই মুশকিল।’
প্রসঙ্গত, আইফা ২০২২-র জন্য সলমন ছিলেন আবুধাবিতে। সেখানে থেকে মুম্বই ফেরেন রবিবারই। জানা যাচ্ছে সলমনের জন্য কেউ ছেড়ে গিয়েছেন একটি বেনামি চিঠি। রিপোর্ট অনুসারে, প্রত্যেকদিন সকালে নিজের বডিগার্ডদের নিয়ে হাঁটতে বের হন সলমন। একটা নির্দিষ্ট লোকেশনে গিয়ে বিরতিও নেন। সেখানেই একটা বেঞ্চে ছেড়ে যাওয়া হয়েছে সেই বেনামি চিঠিখানা। যা খুঁজে পায় সলমনের নিরাপত্তারক্ষীরা। এবং তুলে দেয় সুপারস্টারের হাতে।
সেই কাগজে লেখা ছিল, ‘মুসেওয়ালা-র মতো অবস্থা করে দেব’। পুলিশ ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। প্রসঙ্গত, গত মাসেই পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে মারে আততায়ীরা। পরে সেই খুনের দায় স্বীকার করে নেয়।