সাহস কী? ‘হৃতিককে গোটা ছবিতে শুইয়ে রেখেছিলাম’, সমালোচকদের সপাটে জবাবে বনশালির!

এবার তাঁর সমালোচকদের উদ্দেশে মুখ খুললেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি।

'গুজারিশ' ছবিতে একজন পক্ষাঘাতগ্রস্থ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হৃতিক রোশন।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ছবি 'গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি'। বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই ছবি। স্বভাবতই খুশি পরিচালক। এবার তাঁর সমালোচকদের উদ্দেশে মুখ খুললেন বনশালি। জানালেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেকের অভিযোগ যে তিনি নাকি হামেশাই এক ধরণের ছবি তৈরি করেন। বনশালি জানিয়েছেন, তাঁর পরিচালনায় ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি 'সাওয়ারিয়া' বক্স অফিসে সশব্দে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তা সত্বেও ২০১০ সালে 'গুজারিশ'-এর মতো ছবি তিনি বানিয়েছিলেন, যে ছবিতে হৃতিক রোশনকে একজন কোয়াড্রিপ্লেজিক রুগী হিসেবে দেখানো হয়েছিল।সোজা কথায়, পক্ষাঘাতগ্রস্থ। 'সাওয়ারিয়া' ছবির ভরাডুবির পরেও 'গুজারিশ'-এর মতো ছবি বানানো কি যথেষ্ট সাহসিকতার নয়? প্রশ্ন তুললেন বনশালি।

এখানেই না থেমে ফিল্ম কম্প্যানিয়ন-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বনশালি আরও বলেছেন, ‘বহু মানুষ ভেবে নিয়েছিল আমি একই ঘরানার ছবি তৈরি করে চলেছি। একই জায়গায় আটকে রয়েছি। সাওয়ারিয়া ও গুজারিশ-এর পর তো আমার কেরিয়ার শেষ বলেও রব তুলেছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু আমি কিন্তু থেমে থাকিনি। ক্রমাগত নতুন কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। শিল্পী হিসেবে সাহসী বলেই সাওয়ারিয়ার পর গুজারিশের মতো ছবি তৈরি করতে পেরেছিলাম।’  

বনশালির কথায়, 'বলিউডে যাঁকে গ্রিক গড-এর সৌন্দর্য্যের সঙ্গে তুলনা করা হয় সেই হৃতিক রোশন-কে কে আমি আমার প্রায় গোটা ছবিতে বিছানায় শুইয়ে রেখেছিলাম। হাত-পা নাড়ানো ছাড়া সংলাপ বলিয়েছিলাম! এটাকে কি আপনি সাহস বলবেন না? আমার মনে হয় এটাই নির্ভয়তার প্রমাণ। আর জেনে রাখুন, নির্ভয় না হলে শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না! সম্ভবই নয়!'